Advertisment

সিবিআই ডিরেক্টর আলোক ভার্মা অপসারণ মামলায় রায়দান স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

যে সিলেকশন কমিটির কথা বারবার সওয়ালে উঠে এসেছে, সেই সিলেকশন কমিটিতে রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং দেশের বিরোধী দলনেতা। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অলংকরণ- শুভজিৎ দে

সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে আলোক ভার্মাকে অপসারণের মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বয়ং আলোক ভার্মা। এ ছাড়াও একই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানায় ‘কমন কজ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সিবিআই ডিরেক্টর আলোক ভার্মা এবং সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর গত অক্টোবরে দুজনকেই পদ থেকে সরিয়ে দের সরকার।

Advertisment

এর আগের দিন সওয়ালে কেন্দ্রের পক্ষে ভেণুগোপাল জানিয়েছিলেন, প্রকাশ্যে দুই শীর্ষ সিবিআই কর্তা ঝগড়া করায় সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এদিন শীর্ষ আদলত প্রশ্ন তোলে, জুলাই মাসে এই দুজনের সংঘাত সামনে এসেছিল। সেক্ষেত্রে এতদিন পর হঠাৎ রাতারাতি কেন এই অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

আরও পড়ুন, সীমান্তে জঙ্গিহানার থেকে বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন পথ দুর্ঘটনায়: সুপ্রিম কোর্ট

বৃহস্পতিবার আদালতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কমন কজের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে। জাভে বলেন, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে আলোক ভার্মাকে অপসারণের কোনও অধিকারই নেই। তিনি বলেন, সিভিসি কেবলমাত্র দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতার মামলা বিবেচনা করতে পারে। দুষ্যন্ত দাভে বলেন, সিভিসি রাকেশ আস্থানা এবং আলোক ভার্মা, এই দুজনের ব্যাপারে দুরকম পদক্ষেপ করেছে।

‘‘সিবিআই ডিরেক্টরকে ছোঁয়া যায় না, তেমন কোনও চরম অবস্থা ঘটলে সরকার সিলেকশন কমিটির দ্বারস্থ হতে পারে। অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল সিবিআই ডিরেক্টরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাঁর নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে।’’

আলোক ভার্মার অপসারণকে বেআইনি বলে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল।

সিলেকশন কমিটির কাছে সরকারের যাওয়া উচিত ছিল বলে আদালতে সওয়াল করেন তিনিও। তিনি একই সঙ্গে বলেন, আইনানুসারে সিবিআই ডিরেক্টর অন্তত দু বছর ওই পদে থাকার অধিকারী। যদি সে নিয়ম অনুসরণ না করা হয়, তাহলে কেন্দ্র ওই আইন বাতিল করে দিতে পারে।

যে সিলেকশন কমিটির কথা বারবার সওয়ালে উঠে এসেছে, সেই সিলেকশন কমিটিতে রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং দেশের বিরোধী দলনেতা।

এদিনের সওয়াল শোনার পর এ বিষয়ে রায়দান মুলতুবি রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

supreme court cbi
Advertisment