Advertisment

এনডিটিভি, প্রণয় রায়ের বিরুদ্ধে নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের

মামলা রুজু করা হয়েছে এনডিটিভির প্রোমোটার প্রণয় রায়, রাধিকা রায়, সিইও বিক্রমাদিত্য চন্দ্র এবং কয়েকজন আয়কর আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NDTV, CBI

ফাইল ছবি

এনডিটিভি লিমিটেডের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করল সিবিআই। মামলা রুজু করা হয়েছে এনডিটিভির প্রোমোটার প্রণয় রায়, রাধিকা রায়, সিইও বিক্রমাদিত্য চন্দ্র এবং কয়েকজন আয়কর আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও। এঁদের বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisment

সিবিআইয়ের এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, "২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এনডিটিভি ৩২টি সহায়ক সংস্থা খুলেছে হল্যান্ড, ব্রিটেন, দুবাই, মালয়েশিয়া ও মরিশাসের মত কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্যে। সিবিআইয়ের মতে এই সংস্থাগুলির কোনও বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল না এবং এই সংস্থাগুলিতে বিদেশ থেকে লগ্নি আনতে আর্থিক লেনদেনের জন্য কেবল ব্যবহৃত হয়েছিল।"

আরও পড়ুন, আইএনএক্স মিডিয়া ও চিদাম্বরমের যোগসাজশ

সিবিআই অভিযোগ করেছে, "এ সবগুলিই ছিল ভুয়ো লেনদেন। অজ্ঞাতপরিচয় সরকারি কর্মীরা এনডিটিভি লিমিটেডের মাধ্যমে এখানে লগ্নি করতেন এবং পরে সে অর্থ বিভিন্ন স্তরের জটিল লেনদেন ও ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে ভারতে ফেরত আনা হত।"

সিবিআই বলেছে, "লন্ডনের এনডিটিভি নেটওয়ার্ক পিএলসি, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফআইপিবি)-এর মাধ্যমে ১৩০ থেকে ১৬০ মিলিয়ন ডলার বিদেশি লগ্নি আনার যে ছাড়পত্র পেয়েছিল তা সরাসরি বিদেশি লগ্নির নিয়মাবলী লঙ্ঘন করে। সিবিআইয়ের এফআইআরে বলা হয়েছে, লন্ডনের এনডিটিভি নেটওয়ার্ক পিএলসি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ১৬৩.৪৩ মিলিয়ন ডলার বিদেশি লগ্নি পেয়েছে।" সিবিআইয়ের অভিযোগ এই অর্থ এসেছে এনডিটিভি-র বিভিন্ন সহায়ক সংস্থা থেকে, জটিল সব লেনদেনের মাধ্যমে।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, "লন্ডনের এনডিটিভি নেটওয়ার্ক পিএলসি ২০০৭ সালের মার্চ মাসে ২০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে ফিউজ মিডিয়া হোল্ডিং এলপি-এর কাছ থেকে, ২০০৭ সালের মে মাসে ১০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে জেফ্রিস ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে। সিবিআইয়ের এফআইআরে বলা হয়েছে এই লেনদেনে জেফ্রিস ইন্টারন্যাশনাল কমিশন বাবদ ৫.৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।"

"মোট যে অর্থ এনডিটিভি নেটওয়ার্ক পিএলসি পেয়েছে, তার মধ্যে ১৯৩৯ কোটি টাকা এনডিটিভি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ট্রান্সফার করা হয়েছে।"

সিবিআই বলেছে, এনডিটিভি ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং বিভি তৈরিই করা হয়েছিল আমেরিকার জেনারেল ইলেক্ট্রিকের অধীনস্থ একটি সংস্থার কাছ থেকে ১৫০ মিলিয় ডলার তোলার জন্য। এই লগ্নি এনডিটিভির অধীনস্থ ভারতীয় সংস্থাগুলিতে আসে মরিশাস ও ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে।

এই এফআইআরের উত্তরে এনডিটিভি-র তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "সত্যি ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশনা বন্ধ করতে মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ আনা হচ্ছে।" বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "বেশ কয়েকটি মামলায় তদন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে কারণ সংস্থাগুলি এনডিটিভির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি। এনডিটিভি-র প্রতিষ্ঠাতা প্রণয় রায় ও রাধিকা রায় এবং কোম্পানি নিজেও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের তদন্তে সহায়তা করেছে।"

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে সব ভুয়ো লেনদেনের কথা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি আমেরিকা ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষিত।

Read the Full Story in English

Advertisment