Advertisment

আঁড়ি পাতার অভিযোগে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে FIR, সুকৌশলে ED দফতরে হাজিরা এড়ালেন কবিতা

সিবিআই জানিয়েছে, এফবিইউ আট মাসে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করেছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Delhi News Live Updates, Delhi latest news, Delhi news, Delhi water supply, delhi water supply affected, delhi excise policy case,

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কেসিআরের মেয়ে কবিতাকে আজ তৃতীয় দফায় জেরার জন্য তলব করে ইডি। গতকালই ইডির তলবের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কবিতা। শীর্ষ আদালত কবিতার ইডি সমনকে চ্যালেঞ্জ করে তার আবেদনের শুনানির জন্য সম্মত হওয়ার একদিন পর আজ ১৬ই মার্চ ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন কেসিআর কন্যা কবিতা।

Advertisment

১১ মার্চ প্রথমবার এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন কবিতা। দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে জেরার জন্য ছয় দিনের মাথায় আবার তাঁকে তলব করেছে ইডি। প্রথমবার তাঁকে ১২ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির তদন্তকারীরা। পরের বার দীর্ঘ ৯ ঘন্টা জেরা করে ইডি।

এই দফায় ইডির হাজিরা এড়াতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন কেসিআর কন্যা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ইডির তলবের উপর স্থগিতাদেশ জারি না করে পূর্ণাঙ্গ মামলা ২৪ মার্চ শুনবেন বলে জানিয়ে দেন। আজ ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে কবিতা তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন।

সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এই বিষয়ে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করে। আদালত আগামী ২৪ মার্চ তার আবেদনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া সহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।  

২০১৫ সালে দিল্লিতে আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর ‘ফিডব্যাক ইউনিট’ নামে নতুন একটি সেল গঠন করে। অভিযোগ, এই সেলের কাজ ছিল দিল্লি সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মের উপর নজরদারি চালানো। ওই সেল রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, আমলা এবং ব্যবসায়ীসহ প্রায় সাতশো জনের উপর বেআইনি নজরদারি চালিয়েছিল আপ বলে দাবি করেছে সিবিআই।

সিবিআই জানিয়েছে, এফবিইউ আট মাসে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করেছে। সংস্থার মতে, ফিডব্যাক ইউনিট গঠন ও কাজ করার অবৈধ উপায়ে রাজকোষের প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সিবিআই ফিডব্যাক ইউনিট সম্পর্কিত তাদের রিপোর্ট ভিজিল্যান্স বিভাগে জমা দিয়েছে।

এরই সূত্র ধরে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি আঁড়ি পাতার অভিযোগ আনে। এখন এই মামলায় দিল্লির ডেপুটি সিএমের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তারপরই এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই আপ ও বিজেপিতে শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। দিল্লি বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বিষয়টিকে ‘খুব গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্য খবরে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব কথিত 'চাকরির বিনিময়ে জমি' কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর তরফে জারি করা সমন বাতিল করার নির্দেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।

cbi ED Manish Sisodia KCR
Advertisment