কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ টাউন হলের বুকিং বিষয়ক তথ্য জানতে চাইল সিবিআই। জানা যাচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবারই পুরসভাকে নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সিবিআই-এর তরফে দাবি, সারদাকাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে তাদের হাতে টাউন হলের বুকিং সংক্রান্ত কিছু তথ্য আসে। এরপরই পুরসভাকে নোটিস পাঠায় গোয়েন্দারা। চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে এর উত্তর চাওয়া হয়েছে।
কী জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিসে?
সূত্রের খবর, প্রদর্শণীর জন্য কে বা কারা টাউন হল বুকিং করেছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মোট কতবার বুকিং করা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই বুকিং-এর জন্য মোট কত টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা নগদে না চেকে মেটানো হয়েছে সে কথাও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে পুরসভাকে।
জানা যাচ্ছে, সারদাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পারে, একটি বিশেষ প্রদর্শণীর জন্য কলকাতার টাউন হল বুক করা হয়েছিল। তাদের মনে হচ্ছে, এ সংক্রান্ত তথ্যের মধ্যে বেশ কিছু সূত্র মিলবে। সে জন্যই পুরসভাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সারদা তদন্তে এর আগে রাজ্যের চার আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে ই-মেইল পাঠিয়েছিল সিবিআই। ওই চার অফিসার হলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল রাজীব কুমার, অতিরিক্ত নগরপাল (১) বিনীত গোয়েল, রেলের আইজি তমাল বসু ও প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি বসু। উল্লেখ্য, সারদা তদন্তে রাজ্যের তরফে যে সিট বানানো হয়েছিল, তার প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। এছাড়া অন্য তিন অফিসারও ওই বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তারা মনে করছে সিট সারদাকাণ্ডের বেশ কিছু নথি লোপাট করেছে। এছাড়া, সারদা তদন্তের ক্ষেত্রে বারবার একটি লাল ডায়েরির কথা সামনে এসেছে। সারদার প্রধান কার্য্যালয় অর্থাৎ সল্টলেকের মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে সেটি থাকত। সারদা থেকে সুবিধা নেওয়া অনেক রাঘব বোয়ালের নাম সেই ডায়রিতে থেকে থাকতে পারে বলে অনুমান সিবিআই-এর। কিন্তু, সারদার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ হার্ড ডিস্ক, পেন ড্রাইভ-সহ ওই লাল ডায়েরিটিও বেহাত হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।