জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে এপ্রিল মাসে দুটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সত্য পাল মালিক জম্মু ও কাশ্মীর সহ অনেক রাজ্যের রাজ্যপাল পদে আসীন ছিলেন। কর্মকর্তারা বলেছেন যে সিবিআই এই সপ্তাহের শুরুতে তার মন্তব্যের বিশদ বিবরণ নিয়েছে। ৪ঠা অক্টোবর গভর্নর হিসাবে তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও জানান, সিবিআই এই সপ্তাহের শুরুতে তার মন্তব্যের বিশদ বিবরণ নিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মালিকের দাবি, তিনি জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন এক সচিব বলেছিলেন যে তাঁকে গোপনে দুটি ফাইল পাশ করাতে হবে। প্রতিটির জন্য ১৫০ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে মালিককে। জবাবে মালিক বলেছিলেন, তিনি জম্মু-কাশ্মীরে পাঁচটি কুর্তা-পাজামা নিয়ে এসেছেন। সেগুলো নিয়েই ফিরে যাবেন। সত্যপাল মালিকের দাবি, তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও জানিয়েছিলেন। সেই সময় মোদী তাঁকে কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপস না-করতে বলেছিলেন। রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে হওয়া এক অনুষ্ঠানে মালিক প্রকাশ্যে একথা জানান।
যদিও, ওই ফাইলগুলো সম্পর্কে মালিক বিস্তারিত কিছুই জানাননি। তবে, মনে করা হয়, তিনি স্পষ্টতই রিলায়েন্স জেনারেল ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে সরকারের চুক্তির ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন। অনিল অম্বানি নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স গ্রুপের অংশ রিলায়েন্স জেনারেল ইনস্যুরেন্স। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সরকারি কর্মচারীদের রিলায়েন্স জেনারেল ইস্যুরেন্সের অধীনে বিমা করানোর চুক্তি মালিক বাতিল করে দিয়েছিলেন।
রাজ্যপালের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই তদন্ত
কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন যে সিবিআই এই সপ্তাহের শুরুতে মালিকের মন্তব্যের বিশদ বিবরণ নিয়েছে। গত ৪ ঠা অক্টোবর গভর্নর হিসেবে মালিকের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই তদন্ত শুরু হয়। মালিককে ২০১৭ সালে বিহারের রাজ্যপাল করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে, তাকে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের আগস্টে, ৩৭০ ধারা বাতিলের পরই তাকে মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদে পাঠানো হয়। এই মাসেই সেই মেয়াদ শেষ হয় মালিকের। এই বছরের এপ্রিলে, মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিপ্তে সিবিআই দুটি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।