/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/10/rakesh-asthana.jpg)
রাকেশ আস্থানা
রাকেশ আস্থানার ব্যাপারে সিবিআইকে স্ট্যাটাস কো বজায় রাখার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত, আস্থানা এবং পুলিশের ডেপুটি সুপার দেবেন্দর কুমার তাঁদের বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজ করার যে আবেদন করেছিলেন, তার জবাব দেওয়া হয় নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মাংস রফতানিকারক মঈন কুরেশির বিরুদ্ধে মামলায় এর আগে তদন্তকারী অফিসার ছিলেন দেভেন্দর কুমার। যিনি এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন, সেই ব্যবসায়ী সতীশ সানার দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে কুরেশিকে ২২ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, সিবিআই-এ ফের বদল: এবার পরিবর্তন মঈন কুরেশি মামলার তদন্তকারী অফিসার
বিচারপতি নাজমি ওয়াজিরির বেঞ্চ সিবিআই-কে এ মামলায় আগামী ১ নভেম্বরের আগে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছে। সিবিআইয়ের কৌঁশুলি আদালতে বলেন যে যেহেতু সমস্ত ফাইল সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে পাঠানো হয়েছে এবং পুরো টিমেই রদবদল চলছে, সে কারণেই বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরও বেশি সময় আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন মূলত দুটি মামলার ফাইলস রেকর্ডিং এবং অন্যান্য তথ্য সিবিআইয়ের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে। তার একটি হল মঈন কুরেশি মামলা এবং অন্যটি হল, আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারি মামলা যাতে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবারে সদস্যরা জড়িত। সিবিআইয়ের দু নং কর্তা রাকেশ আস্থানা সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার, তদন্তে নাক গলানো এবং দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।
গত সপ্তাহেও হাইকোর্ট এই একইরকম ভাবে স্ট্যাটাস কো বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। এদিনের শুনানি চলাকালীন আদালত এজেন্ট মনোজ প্রাসাদের আবেদনের ব্যাপারেও সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায়। রাকেশ আস্থানা ঘুষ মামলায় তার বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের আবেদন করেছিলেন মনোজ প্রসাদ। এ ব্যাপারে সিবিআই-কে ৩১ অক্টোবরের মধ্য তাদের জবাব জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন প্রসাদ।
আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি ১ নভেম্বর।
Read the Full Story in English