সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে কিছু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং অন্যদের সঙ্গে কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার কথোপকথনে তদন্তের পরে কোনও অপরাধ পাওয়া যায়নি। তদন্ত সংস্থার এই নোটের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত গোটা বিষয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি, সিবিআইয়ের পক্ষে আদালতে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চকে জানিয়েছেন যে রাডিয়ার টেপগুলো প্রকাশের প্রেক্ষিতে গোপনীয়তার অধিকারের সুরক্ষা চেয়ে শিল্পপতি রতন টাটার দায়ের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
সর্বোচ্চ আদালতের গোপনীয়তার অধিকারের রায়ের ভিত্তিতে ভাটি বলেন, 'আমাকে অবশ্যই জানাতে হবে যে এই সমস্ত কথোপকথন তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চৌদ্দটি প্রাথমিক তদন্ত নথিবদ্ধ হয়েছে। রিপোর্ট একটি মুখবদ্ধ খামে আদালতের সামনে রাখা হয়েছে। রিপোর্টে কোনও অপরাধের প্রমাণ মেলেনি। আর, এখন ফোন ট্যাপিং নিয়ে আদালতের নির্দেশিকাও রয়েছে।'
বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতিরা হলেন হিমা কোহলি এবং পিএস নরসিমহা। আদালত জানিয়েছেন দশেরার ছুটির পরে বিষয়টি শুনানি হবে। কারণ, আগামী সপ্তাহে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ রয়েছে। সিবিআইকে একটি আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। ১২ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
আরও পড়ুন- হাইকম্যান্ডের মত ছাড়া প্রার্থী হতে নারাজ গেহলট, ছাড়তে চান না মুখ্যমন্ত্রীর পদও
এর আগে বুধবার শুনানির শুরুতে, টাটার পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী শুনানির মুলতবি চেয়েছিলেন। সেই সময় মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টকে জানান যে সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (সিপিআইএল) নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা দায়ের করা আরেকটি পিটিশন রয়েছে। বৃহত্তর জনস্বার্থে যাবতীয় বিষয়টিকে জনসাধারণের কাছে প্রকাশের অনুরোধ সেই আবেদনে করা হয়েছে।
সিপিআইএলের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, নীরা রাডিয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কোম্পানির কর্পোরেট লবিস্ট ছিলেন। এই কোম্পানিগুলো জনসাধারণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল। শীর্ষ আদালত ২০১৩ সালে কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার টেপ করা কথোপকথনের বিশ্লেষণ থেকে উদ্ভূত ছয়টি বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় শীর্ষ আদালত বলেছিল, 'রাডিয়ার কথোপকথনগুলো বোঝায় যে বেসরকারি সংস্থাগুলো সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বাহ্যিক উদ্দেশ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলে।'
Read full story in English