ওড়িশার ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই। তদন্তের খাতিরে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বাহানাগা বাজার স্টেশন সিল করে দিয়েছে। আপাতত সংশ্লিষ্ট স্টেশনে কোনও ট্রেন থামবে। শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন রেলওয়ের এক আধিকারিক। ওড়িশার বালেশ্বার জেলার বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে ২রা জুন দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং একটি মালগাড়ির দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন নিহত এবং ১২০০জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেছেন, ‘সিবিআই তদন্তের স্বার্থে স্টেশনটি সিল করে দিয়েছে এবং লগ বুক, রিলে প্যানেল এবং অন্যান্য সরঞ্জামও সিল করে দিয়েছে। ইন্টারলকিং প্যানেল সিগন্যালিং সিস্টেমে কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রিলে রুম সিল করে দেওয়া হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি ব্যবহার করা যাবে না রিলে রুম ও প্যানেল রুম । পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাহানাগা বাজারে কোনও যাত্রী বা পণ্যবাহী ট্রেন থামবে না," । প্রতিদিন প্রায় ১৭০টি ট্রেন বাহানাগা বাজার রেলওয়ে স্টেশনের ওপর দিয়ে চলাচল করে, তবে শুধুমাত্র কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন এক মিনিটের জন্য ওই স্টেশনে থামত।
সিবিআই দুর্ঘটনার তদন্তভার ইতিমধ্যে হাতে নিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) প্রাসঙ্গিক ধারায় এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ট্রেন দুর্ঘটনার "প্রধান কারণ" ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে বদলকেই দায়ি করেছেন। রেলওয়ের আধিকারিকরা ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের ত্রুটির বিষয়ে "নাশকতা"র সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এদিকে, দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হলেও ৮০টি মৃতদেহ এখনও ভুবনেশ্বর এইমস মর্গে দাবিহীন রয়ে গেছে। রেলওয়ে ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় আহত ১২০০ যাত্রীর মধ্যে ৭০৯ জনকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে।