CBI: ইউপিএ আমলে সিবিআইকে ‘খাঁচাবন্দি তোতা’ খোঁচা দিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কয়লাখনি বরাত মামলায় ২০১৩ সালে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। এবার দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের আমলে একইভাবে সিবিআইকে ‘খাঁচাবন্দি তোতা’ কটাক্ষ মাদ্রাজ হাইকোর্টের। মঙ্গলবার হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ ‘খাঁচাবন্দি তোতা’ সিবিআইকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থাকে স্বাধীন স্বায়ত্ত্ব সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হোক। এমন মন্তব্য করেছেন মাদুরাই বেঞ্চের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি এন কিরুবাকরণ এবং বি পুগালেন্ধি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন, ক্যাগ যেমন স্বাধীন সংস্থা সেই আদলে সিবিআইকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। একমাত্র সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এই তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের মন্তব্য, খাঁচাবন্দি তোতাকে মুক্ত করতেই এই নির্দেশ।‘ চিটফান্ড-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় এর আগে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করেছে আদালত। রাজ্যের ইকনমিক উইং তদন্ত করছে। তাই সেই আর্জি খারিজ হয়েছে। কিন্তু চিটফান্ড-কাণ্ডের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের খোঁজে সিবিআইয়ের মতো সংস্থার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সেই প্রশ্নে সিবিআইয়ের অবস্থান জানতে চায় আদালত। তখন কেন্দ্রীয় এই সংস্থা মানবসম্পদ এবং পরিকাঠামোর দোহাই দিয়ে তদন্তভার নিতে অস্বীকার করে।
সিবিআইয়ের অবস্থান শুনেই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘সিবিআইয়ের ওপর মানুষের একটা ভরসা এবং বিশ্বাস রয়েছে। যখন চারদিকে সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে, তখন এই সংস্থা পিছিয়ে যায়। সীমিত মানবসম্পদ এবং সম্পদের দোহাই দিয়ে তদন্তভার নিতে অপারগ। এমনটাই জানায় সিবিআই। এটা কেন্দ্রীয় ওই সংস্থার আদালতের কাছে খুবই শিথিল রক্ষণ।‘
মঙ্গলবার তাদের ১২ পাতার নির্দেশনামায় সরকারকে কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআইয়ের জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ, সংস্থার আমূল বদল, সিবিআই প্রধানের কেন্দ্রীয় সচিবের মতো পদমর্যাদা ইত্যাদি, ইত্যাদি নির্দেশ। এমনকি, সিবিআইয়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি আরও উন্নত করতে উদ্যোগ নিক সরকার। এফবিআই কিংবা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো গবেষণাগার তৈরি হোক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন