অলোক ভার্মার পর রাকেশ আস্থানাকেও সরিয়ে দিল সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে অলোক ভার্মাকে অপসারণের এক সপ্তাহ পর স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে সরানোর নির্দেশ এল। আরও তিন বরিষ্ঠ পদমর্যাদার আধিকারিককেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঈন কুরেশি মামলায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আস্থানা। গত বছর আস্থানা এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ বাবু সানা এফআইআর করেন। সানার অভিযোগ ছিল মাংস রফতানিকারক মঈন কুরেশি মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য তিনি ঘুষ দিয়েছেন। দুর্নীতি এবং জোর করে টাকা আদায়ের জন্য আস্থানার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
আস্থানা মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআই-কে ১০ সপ্তাহ সময় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিটির সুপারিশ মেনেই চার অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।
সিভিসি-র আনা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে গত সপ্তাহে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অলোক ভার্মাকে। যদিও তিন সদস্যের কমিটির অন্যতম সদস্য মল্লিকার্জুন খাড়্গে এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন।
গত ২৩ অক্টোবর আস্থানা এবং ভার্মাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তার আগে বেশ কিছুদিন ধরে এঁরা দুজনে পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক ভার্মা। শীর্ষ আদালত সরকারের সিদ্ধান্ত খারিজ করে তাঁকে ডিরেক্টর পদে পুনর্বহাল করে। তবে তার দুদিন পরেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ফের তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়।
আস্থানার বিরুদ্ধে মূল তদন্তকারী অফিসার সিবিআইয়ের ডিআইজি এম কে সিনহাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের আভ্যন্তরীণ বিবাদের সময়ে তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর আবেদনে তিনি অভিযোগ করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আস্থানা তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছেন, এবং আইন সচিব সুরেশ চন্দ্র, সানা সতীশ বাবুকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।