মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টকে সিবিআই জানিয়েছে, অলোক ভার্মা ডিরেক্টর থাকাকালীন কোনও অবস্থাতেই রাকেশ আস্থানা অথবা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ফোনে আড়ি পাতা হয়নি।
দিল্লি হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি রাজেন্দ্র মেননের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চের কাছে হলফনামা জমা দিয়ে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে "বেআইনি ভাবে কোনও টেলিফোন নম্বরকেই নজরবন্দি করেনি সংস্থা"।
দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী সার্থক চতুর্বেদী। এই বিষয়ে একাধিক সিবিআই আধিকারিকের ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়েও তদন্তের দাবি করেন ওই আইনজীবী। সেই জনস্বার্থ মামলার জবাব হিসেবেই বিশেষ আইনজীবী রাজদীপা বেহুরা আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, ‘‘ভারতে ভোটের আগে কিছু একটা ঘটতে পারে’’, আশঙ্কায় ইমরান খান
চতুর্বেদী আবেদন জানিয়েছিলেন, ফোনে আড়ি পাতা এবং নজরবন্দি করার ব্যাপারে কেন্দ্র নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করুক। জবাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই জানিয়েছে আইনসম্মত ভাবেই এই সমস্ত কাজ চালায় তাঁরা। একই সঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে "ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন"।
হলফনামায় জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত নজরদারি চালানো হলে তা 'যথার্থ' উপায়েই চালানো হয় এবং কর্তৃপক্ষ তা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গেই করে থাকে"।
জনস্বার্থ মামলা খারিজ করা হোক, এমনটা দাবি করে সিবিআই জানিয়েছে ২০১৮ সালের অক্টোবরে যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, আইনি পথেই তাঁর ফোন নজরে রাখা হয়েছিল। ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইনে স্পষ্টই উল্লেখ করা রয়েছে 'দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সংহতির স্বার্থে' ফোনকলে নজর রাখা বিধিসম্মত, জানানো হয়েছে হলফনামায়।
Read the full story in English