শনিবার উত্তর প্রদেশ ও দিল্লির মোট ১৪ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এর আগে ২ জানুয়ারি দায়ের করা একটি এফএইআর-এর মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেয়, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ও তাঁর প্রাক্তন ক্যাবিনেট সতীর্থ গায়ত্রী প্রজাপতিকে অবৈধ বালি খাদান মামলায় তাঁদের ভূমিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ একথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে মূলত উত্তর প্রদেশের হামিরপুর অঞ্চলে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অবৈধ বালি খাদান সংক্রান্ত এই মামলাটি অধিগ্রহণ করে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, অখিলেশ এবং প্রজাপতি দুজনেই পর্যায়ক্রমে ২০১২-১৬ সালের মধ্যে খনিজ সম্পদ দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন।
আরো পড়ুন: কংগ্রেসের পরিষ্কার করা রাস্তায় দাঁড়িয়ে অখিলেশের ফেডারেল ফ্রন্ট বন্দনা
শনিবারের দিনভর মামলা সংক্রান্ত তল্লাশি চলে একাধিক উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রমেশ কুমার মিশ্র এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সঞ্জয় দীক্ষিত। এছাড়াও রেড হয় তৎকালীন হামিরপুরের জেলাশাসক বি চন্দ্রকলার বাসস্থানে। ইনি সেই বিখ্যাত আইএএস অফিসার বি চন্দ্রকলা, যাঁর বিভিন্ন দুর্নীতি দমন অভিযান তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভূত জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
উত্তর প্রদেশের যেসব জেলা জুড়ে তল্লাশি চলে, তাদের মধ্যে ছিল জলাউন, হামীরপুর, কানপুর, নয়ডা, ও লক্ষ্ণৌ। এছাড়াও তল্লাশির আওতায় ছিল রাজধানী দিল্লি।
মামলায় মূল অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আদিল খান, বি চন্দ্রকলা, তৎকালীন মাইনিং অফিসার মঈনউদ্দিন, সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রমেশ মিশ্র ও তাঁর ভাই, মাইনিং ক্লার্ক রাম আশ্রয় প্রজাপতি, অম্বিকা তেওয়ারি (হামিরপুর), মাইনিং ক্লার্ক রাম অবতার সিং ও তাঁর আত্মীয় স্বজন, এবং সঞ্জয় দীক্ষিত। সিবিআই জানিয়েছে, ২০১২-১৬ যাঁরা মন্ত্রী ছিলেন, এই মামলায় তাঁদের সকলের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, এই সময়কালে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অখিলেশ যাদব।