খাম জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই-এর অপসারিত ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট সোমবার মুখবন্ধ খামে করে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন (সিভিসি)। অন্যদিকে, সুপ্রিম নির্দেশ অনুযায়ী ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের পদে বসা ইস্তক এ পর্যন্ত এম. নাগেশ্বর রাও-এর নেওয়া যাবতীয় সিদ্ধান্তও মুখবন্ধ খামে জমা পড়েছে আদালতে। উল্লেখ্য, অলোক ভার্মার করা আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ অক্টোবর।
সোমবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এস. কে. কাউলের ডিভিশন বেঞ্চে সিভিসি-র তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মার্জনা চেয়ে নিয়ে জানান, দেরী হওয়ার জন্য রবিবার এই রিপোর্ট জমা করা যায়নি। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি সকাল ১১:৩০ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তাদের পৌঁছতে ঘণ্টা খানেক দেরী হয়ে যায় বলেই ওই দিন রিপোর্ট জমা দেওয়া যায়নি। তবে কী কারণে এই দেরী, সে কথা ব্যাখ্যা করেননি তুষার মেহতা।
আরও পড়ুন- এক বছর দরাদরির পর চূড়ান্ত হয়েছিল রাফালে চুক্তি, অবশেষে জানাল কেন্দ্র
জানা যাচ্ছে, সিভিসি-র দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ একে একে নস্যাৎ করে দিয়েছেন অলোক ভার্মা।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাসে সিবিআই-এর শীর্ষ স্তরের দুই আধিকারিকের কাজিয়া প্রকাশ্যে আসে। দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-এর তৎকালীন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা। আস্থানা ঘনিষ্ঠ সিবিআই-এর ডিএসপি পরমর্যাদার অফিসার দেবেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতারও করা হয়। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ নিবাসী মাংস ব্যবসায়ী মঈন কুরেশির কাছ থেকে ভার্মা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আস্থানা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির দুই শীর্ষ আধিকারিকের এই বিরোধ চরমে ওঠার পর এবং প্রকাশ্যে চলে আসায় ২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। সেই নির্দেশিকায় ভার্মা ও আস্থানাকে পদ থেকে সরিয়ে ছুটিতে পাঠানো হয় এবং সিবিআই-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের পদে বসানো হয় এম. নাগেশ্বর রাও-কে।
আরও পড়ুন- ৩ দিনে কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই প্রধান নাগেশ্বর রাও?
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার পর দিন অর্থাৎ ২৪ অক্টোবরই এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অলোক ভার্মা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রথম শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট সিভিসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলে এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ.কে. পট্টনায়ককে এই তদন্ত প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্ব দেয়। এছাড়া, অন্তর্বর্তীকালীন সিবিআই প্রধান নাগেশ্বর রাও যে সংস্থাটির কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না সে কথাও স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, নিয়োগের সময় থেকে তিনি যেসব সিদ্ধান্ত (অফিসারদের বদলির নির্দেশ-সহ) গ্রহণ করেছেন, সেগুলি উল্লেখ করে একটি কাগজ মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
সিবিআই কাজিয়ার সব খবর পড়ুন এখানে ক্লিক করে
Read the full story in English