অলোক ভার্মাকে নিয়ে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ভিজিলান্স কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ভার্মার জবাব দেওয়ার জন্য তাঁকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিল শীর্ষ আদালত। ভিজিলান্স কমিটিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যথার্থ গোপনীয়তার সঙ্গে ভার্মার তদন্ত রিপোর্ট খামে বন্ধ অবস্থায় পাঠাতে হবে অপসারিত গোয়েন্দা প্রধানের কাছে। সুপ্রিম কোর্টে আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
শুক্রবারের শুনানি চলাকালীন মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, সিভিসি-এর রিপোর্ট বেশ কিছু জায়গায় ভার্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্পষ্ট নয়।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি যেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল এবং সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে পাঠানো হয়। সিবিআই -এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাও একটি প্রতিলিপি চেয়েছিলেন। তাঁর আর্জি ফিরেয়ে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন, জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সিবিআইয়ের সহকারী আইনি উপদেষ্টা
তদন্তের ভার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়কের ওপর দিয়ে শীর্ষ আদালত আগেই জানিয়েছিল তদন্তের রিপোর্ট আগামী সোমবারের মধ্যে পেশ করতে হবে। সেই মতো সোমবার রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিভিসি।
সপ্তাহ তিনেক আগে সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে দায়িত্ব থেকে অপসারিত হতে হয়েছে । সিবিআই প্রধানের নিয়োগ এবং অপসারণের দায়িত্বে থাকা কমিটিতে তিনজন সদস্য থাকলেও রাতারাতি ক্ষমতায় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী একাই। এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে নানা মহলে। বিরোধীরা বলেছেন এই ঘটনা ভারতীয় সংবিধানের রীতি বহির্ভূত।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক রাকেশ আস্থানা ভার্মার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। সিবিআই তদন্তাধীন এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে তদন্ত থেকে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ ছিল গোয়েন্দা প্রধান ভার্মার বিরুদ্ধে।