পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই ডিরেক্টর আলোক ভার্মার মামলার পরবর্তী শুনানির হবে বৃহস্পতিবার। সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে। আলোক ভার্মার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফ থেকে বুধবার শীর্ষ আদালতে বলা হয়েছে- সিবিআইয়ের দুই শীর্ষকর্তা, ডিরেক্টর আলোক ভার্মা এবং স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা জনসমক্ষে এই সংস্থাকে হাসির পাত্র করে তুলেছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল এদিন আদালতে কেন্দ্রের তরফে সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ আধিকারিক যদি বিড়ালের মত কামড়াকামড়ি করেন, তাহলে সরকারকে পদক্ষেপ করতেই হয়।
আরও পড়ুন, ‘সব টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছি, দয়া করে নিন’, সোশাল মিডিয়ায় ‘বিজয়’বার্তা
সংবাদ সংস্থা পিটিআই ভেণুগোপালকে উদ্ধৃত করেছে। ‘‘ভারত সরকার বিস্মিত হয়ে দেখছিল যে তার দুই শীর্ষ আধিকারিক বিড়ালের মত কামড়াকামড়ি করছেন।’’
আলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানা, দুজনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর দুজনকেই ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে ভেণুগোপাল বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের ডিরেক্টর এবং স্পেশাল ডিরেক্টরের মধ্যেকার সংঘাত এই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকে নিচে নামিয়ে আনছিল। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জনতার কাছে সিবিআইয়ের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনা।’’
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালত বলেছিল, তারা আগে খতিয়ে দেখবে যে সরকার সিবিআই ডিরেক্টরকে পদ থেকে সরাতে পারে কি না, নাকি আগে তাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সিলেকশন কমিটির কাছে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন ছিল।
শীর্ষ আদালত তার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ভার্মা এবং আস্থানার পারস্পরিক অভিযোগের মধ্য তারা ঢুকবে না।
আগামী ৩১ জানুয়ারি ভার্মার শীর্ষপদে থাকার দু বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।