সংস্থার এক এবং দু'নম্বর আধিকারিককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে জোর আলোচনায় রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর মাঝেই মঈন কুরেশি মামলায় তদন্তকারী অফিসার বদলানোর সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই। এস কিরণ-কে সরিয়ে এবার দায়িত্ব দেওয়া হল সিবিআই-এর দুর্নীতি বিরোধী বিভাগের পুলিশের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সতীশ ডাগরকে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী মঈন কুরেশি মামলার যাবতীয় নথি রবিবারই পাঠানো হয়েছে ডাগরের কাছে। গত মঙ্গলবার মাঝরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একক সিদ্ধান্তে যখন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানো হয়, সে সময়েই বেশ কিছু আধিকারিককে নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায়। সতীশ ডাগর তাঁদেরই একজন।
আরও পড়ুন, সল্টলেকের সংস্থাকে ১.১৪ কোটি টাকা দিয়েছিলেন সিবিআই প্রধানের স্ত্রী
এ কে বসসি-র পরিবর্তে সিবিআই-তে নিয়ে আসা হয় ডাগরকে। বসসিকে পাঠানো হয় পোর্ট ব্লেয়ারে। দিন কয়েকের মধ্যেই অপসারিত আধিকারিক রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ মামলায় তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হল ডাগরের ওপর।
শুক্রবার, হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ সানাকে তলব করেন ডাগর। ফৌজদারি কার্য বিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সানার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এই বয়ানের ভিত্তিতেই রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে সিবিআই মুখপাত্রকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
২৫ অক্টোবরের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল রদবদলের সময়ে সিবিআইতে আসা সতীশ ডাগর এর আগে গুরমিত রাম রহিম মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। প্রসঙ্গত, মঈন কুরেশি মামলাকে কেন্দ্র করেই গত এক সপ্তাহে সিবিআই-এ তোলপাড় হয়েছে। এই মামলাতেই রাকেশ আস্থানা এবং অলোক ভার্মা পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। তার জেরে দুজনকেই অপসারিত হতে হয় দায়িত্ব থেকে।
ভার্মার আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআই-এর নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাওকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর পরেই কিরণকে সরিয়ে ডাগরকে দায়িত্বে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাওকে সিবিআই-এর নিয়মমাফিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুরেশি মামলা শুরু হয়েছিল বছর চারেক আগে। ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মঈন কুরেশির বাসভবনে হানা দেয় আয়কর দফতর। এই খবর প্রথম প্রকাশ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তিন বছর লেগেছে কুরেশির বিরুদ্ধে মামলা নথিবদ্ধ করতে। বর্তমানে মামলা তদন্তাধীন।
Read full story in English