নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল সিবিআই। এই মামলা ফিরল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। মামলা প্রত্যাহার শীর্ষ আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর চাপ তৈরির অভিযোগ।৪ নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির ঘটনাক্রম তুলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। এদিন সলিসিটর জেনারেলকে বিচারপতি বিআর গভাই প্রশ্ন করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বা আইনমন্ত্রী আইন হাতে তুললে অভিযুক্তদের কেন হয়রানি?’
এদিকে, ইয়াস বিপর্যয়ের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে স্থগিত নারদ মামলার শুনানি। শুক্রবার ফের ৫ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে হবে এই ৪ নেতা-মন্ত্রীর জামিন শুনানি। সেদিনই চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে এদের ভাগ্য।
এদিকে, দ্য এসএসকেএম হাসপাতালে ব্যক্তিগত বন্ডে সই করে গোলপার্কের বাড়িতে পা রেখেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। টানা একসপ্তাহ বাড়ির বাইরে। সিবিআই দপ্তর, প্রেসিডেন্সি জেল, পরে হাসপাতাল… দিন কয়েকে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের মানসিক উত্তেজনা বেড়েছে বই কমেনি। উপরন্তু, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন। নানা সমস্যায় জেরবার। তবে এসএসকেএম থেকে ছুটি পেয়ে বেহালায় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) কাছে নয় তিনি গিয়ে উঠেছেন গোলপার্কের বাড়িতে। যেখানে কিনা গত দু’বছর ধরে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) তত্ত্বাবধানে থাকেন তিনি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফিরে এখন কেমন রয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? উদ্বেগ কাটালেন বৈশাখী খোদ। সাফ জানিয়ে দিলেন যে, গোলপার্কের বাড়িতে ভালই আছেন শোভন।
বৈশাখীর কথায়, দিন কয়েক পর বাড়ি ফিরে শোভন এখন শান্তিতেই রয়েছেন। সেভাবে কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। খাবারদাবারও স্বাভাবিক খাচ্ছেন। তবে সদ্য এক কাছের মানুষকে হারিয়েছেন তিনি। যিনি সম্পর্কে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাদা হন। তাই স্বজন বিয়োগেই আপাতত মন খারাপ তাঁর। সেই দাদার মৃত্যু নিয়েই তিনি খানিক মানসিক চাপে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।