সিবিএসই প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডের জল গড়াল আদালতে। আদালতের পর্যবেক্ষণাধীনে প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডের তদন্ত করার আর্জি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সেই আবেদনে সায়ও দিয়েছে আদালত। সোমবারই এ সংক্রান্ত মামলা শুনবেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল ও বিচারপতি সি হরি শঙ্কর। সিবিএসই-র দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা জুলাইয়ের পরিবর্তে এপ্রিলে করার দাবি জানিয়ে পিটিশন দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অন্যদিকে সিবিএসই-র দশম শ্রেণির অঙ্ক ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষায় পড়ুয়াদের গ্রেস নম্বর দেওয়ার আর্জি জানিয়ে পিটিশন দিয়েছেন অশোক আগরওয়াল নামের এক আইনজীবী।
এদিকে সিবিএসই-র প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় রবিবার বেসরকারি স্কুলের ২ শিক্ষকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট আগে ধৃতরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে। দিল্লিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে নজরদারির অভাবের অভিযোগে কে এস রানা নামের এক আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে সিবিএসই। এর আগে গত শনিবার দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়খণ্ড থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র এক নেতাও ।
দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির পরীক্ষা ফের ২৫ এপ্রিল নেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব অনিল স্বরূপ। দশম শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা সে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে পরীক্ষা যদি হয়, তবে তা জুলাই মাসেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনিল স্বরূপ।
অন্যদিকে সিবিএসই-র পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত শুক্রবার দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনলাইনে একটি পিটিশনে সইও করেছে পড়ুয়ারা।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মোদি সরকারকে নিশানা করে আসরে নামে কংগ্রেস। ট্যুইটারে মোদিকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী লেখেন, পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের চাপ কমাতে ‘এক্সাম ওয়ারিয়র্স’ নামে বই লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরের বই ‘এক্সাম ওয়ারিয়র্স ২’। প্রশ্নফাঁসের পর পড়ুয়াদের যে ক্ষতি হয়, সেই চাপ কীভাবে পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের কমাবেন, তা এ বইয়ে শেখানো হবে। রাহুলের ব্যঙ্গের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের ইস্তফারও দাবি জানায় কংগ্রেস।
এদিকে সিবিএসই-র ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে বহু পডুয়ার ছুটির পরিকল্পনা বানচাল হতে বসেছে। এই সময়টায় বেডাতে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন অনেক অভিভাবকরাই। এখন বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই বুঝতে পারছেন না নির্ধারিত দিনে বেড়াতে যাওয়া আদৌ হবে কিনা।