আফগানিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে আফগানিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন-সহ কাবুল থেকে উড়িয়ে আনা আধিকারিকরাও ছিলেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে মোদী সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, ভারতের সাহায্যপ্রার্থী আফগান ভাই-বোনদের পাশে থাকবে ভারত। সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে তাদের।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, ভারত শুধুমাত্র নিজের নাগরিকদেরই নয়, ভারতে আসতে আগ্রহী শিখ-হিন্দু সংখ্যালঘুদের শরণ দেবে। আফগান ভাই-বোনদের সবরকম ভাবে সাহায্য করবে ভারত। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা, বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা।
সরকারি সূত্রের খবর, ভারত এখন গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' কৌশল নিচ্ছে। তবে আফগানিস্তানে নতুন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে প্রথম বা শেষ দেশ, কোনওটাই হতে চায় না ভারত। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য দিল্লি অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে। আপাতত কাবুলে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ভারত।
আরও পড়ুন ফের উত্তেজনা অসম-মিজোরাম সীমান্তে! পুলিশের গুলিতে জখম এক মিজো নাগরিক
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এটা এখনও স্পষ্ট নয়, তালিবানদের মধ্যে কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা হবে। আগে তারা সরকার গঠন করুক। আধিকারিকদের মতে, অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া জটিল। পাকিস্তান এবং চিনের প্রভাব রয়েছে তালিবানদের উপর। দুই দেশের ঘুরপথে হস্তক্ষেপের বিষয়টা মাথায় রাখছে ভারত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন