ভারতে তৈরি চোখের ড্রপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বিরল স্ট্রেন! সিডিসি’র দাবি ঘিরে তোলপাড়। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ভারতে প্রস্তূত চোখের ড্রপের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিডিসি জানিয়েছে এই ড্রপ ব্যবহারের ফলে সেদেশে মৃত্যু ও অন্ধত্বের মত ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ড্রাগস কন্ট্রোল জানিয়েছে চোখের ড্রপের নমূণা সংগ্রহ করা হয়েছে সেখানে ক্ষতিকারক কিছু মেলেনি।
গ্লোবাল ফার্মা হেলথকেয়ারের তৈরি ওভার-দ্য-কাউন্টার আই ড্রপ ব্যবহারের ফলে আমেরিকায় বেশ কয়েকজনের মধ্যে চোখের রোগ সহ একাধিক ধরণের সংক্রমণের দাবি করেছে CDC, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, এই আই ড্রপ ব্যবহারের ফলে ‘ব্যাকটেরিয়া’য় সংক্রমিত হয়ে তিনটি মৃত্যু, আটটি অন্ধত্বের ঘটনা এবং কয়েক ডজন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এমনটাই দাবি ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের।
ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) চিকিৎসকরা সেদেশের জনগণকে বাজার থেকে পণ্যটি না কেনার নির্দেশ দিয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে এটি কিনেছে তাদের এটি ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করেছে।এফডিএ কর্তৃক জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, "দূষিত এই আইড্রপ চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় যা অন্ধত্ব এবং মৃত্যু হতে পারে"।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘সিউডোমোনাস’ থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন। গত ফেব্রুয়ারিতে এফডিএ সতর্কতা জারি করার পর, কেন্দ্র ও তামিলনাড়ু সরকারের ওষুধ পরিদর্শকদের একটি দল চেন্নাই থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে কোম্পানিটি পরিদর্শন করে।আইড্রপ সম্পর্কে এফডিএ-র মন্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করার সময়, তামিলনাড়ুর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে গ্লোবাল ফার্মার তৈরি চোখের ড্রপের নমুনায় "কোন দূষণ" পাওয়া যায়নি। তাহলে কীভাবে এমন দাবি করছে সিডিসি?
সিডিসি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, সিউডোমোনাস প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াগুলি চোখের ড্রপের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছে। ১৬টি রাজ্যের ৬৮জন এই ব্যকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের ফলে তিনজন মারা গেছেন এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৪ জন।