Covid Vaccine in India: উৎপাদন কালের ১২ মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে কোভ্যাকসিন। বুধবার রীতিমতো ট্যুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। ভারতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাকসিনের উৎপাদক সংস্থা ভারত বায়োটেক। সহযোগী উৎপাদক সংস্থা আইসিএমআর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর জরুরি ব্যবহার তালিকায় এখনও জায়গা পায়নি এই টিকা। হু দফতরে জমা পড়া হিউম্যান ট্রায়াল নথি নিয়ে চলছে পর্যালোচনা। এই আবহে কোভ্যাকসিনের কার্যকাল ১২ মাস পর্যন্ত স্থায়ী, উৎপাদক সংস্থার এই আবেদনে সিলমোহর বসিয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।
হু-য়ের পর্যালোচনায় এই সিলমোহর খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা। এদিকে, কোভ্যাক্সিনে সবুজ সংকেত অস্ট্রেলিয়ার। এবার থেকে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের তৈরি এই করোনা টিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার অনুমোদন মিলবে। যদিও কোভ্যাক্সিনকে এখনও করোনার ভ্যাকসিন হিসেবে মান্যতা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে শীঘ্রই সেই ছাড়পত্রও মিলবে বলে আশাবাদী ভারত বায়োটেক। গত সোমবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, কোভ্যাক্সিনের উপর ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে “একটি অতিরিক্ত তথ্য” চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের ব্যাপারে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)-এর বিশেষজ্ঞরা।
সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। হায়দরাবাদের ওষুধ সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন এই করোনা টিকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড (ভারতে যে টিকা বানাচ্ছে সেরাম ইন্সটিটিউট)-এর পাশাপাশি ভারতে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ চলছে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই টিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে WHO-এর স্বীকৃতি মেলার আগেই অজি সরকার ভারতে তৈরি এই টিকায় ছাড়পত্র দিয়ে দিল। অস্ট্রেলিয়ান সরকার সোমবার জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন-কে করোনার আরও একটি স্বীকৃত টিকা হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণ ও অনুমোদনকারী সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (TGA)। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে TGA এই ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই ভ্যাকসিন করোনা এড়াতে সুরক্ষা প্রদান করে।
এই ভ্যাকসিনটি নিলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। আগত ভ্রমণকারীদের আগে থেকে এই টিকা নেওয়া থাকলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন তাঁদের থেকে করোনার সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। টিকা প্রস্তুতকারক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে টিজিএ-কে ইতিমধ্যেই সহায়ক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন