পঞ্জাবে কোনও গণতন্ত্র নেই। শনিবার পাটিয়ালা জেল থেকে বেরনোর পর প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই অভিযোগ করলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। সিধুর কথায়, 'পঞ্জাবে কোনও গণতন্ত্র ছিল না। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য ষড়যন্ত্র করেই গণতন্ত্রকে নষ্ট করা হচ্ছিল।' এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ দেগে সিধু বলেন, 'পঞ্জাবে গণতন্ত্রকে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো দাসে পরিণত হয়েছে।'
Advertisment
শুধু কেন্দ্রকে তোপ দেগেই ক্ষান্ত হননি প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। আক্রমণ করেছেন পঞ্জাবের বর্তমান আম আদমি পার্টির সরকারকেও। সিধু বলেছেন, ভগবত মান 'পঞ্জাববাসীকে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন।' বিভিন্ন দলকে আক্রমণের পাশাপাশি, নিজের রাজনৈতিক অবস্থানও শনিবার স্পষ্ট করেছেন সিধু। তিনি বলেন, 'রাহুল গান্ধী সংবিধানের রক্ষক। আর, সিধু তাঁর পাশে আছে।'
Navjot Singh Sidhu to be released from Patiala Central Jail. Sidhu being released early from jail due to good conduct
এদিনই পাটিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পান সিধু। ‘জমকালো সেলিব্রেশনে’ সিধুকে স্বাগত জানাতে আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। মুক্তির পর হয়েছে লাড্ডু বিতরণও! জেলের বাইরে উপচে পড়া সমর্থকদের ভিড় আরও একবার প্রমাণ করেছে সিধুর জনপ্রিয়তা। ৩৫ বছরের পুরনো খুনের মামলায় গত বছরের ১৯ মে, সুপ্রিম কোর্ট একবছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সিধুকে। তারপর ২০ মে থেকে তিনি ছিলেন জেলে।
Advertisment
পাটিয়ালা জেলের বাইরে সমর্থকদের ভিড়
সাজার দিন শেষ হওয়ার ৪৮ দিন আগেই মুক্তি পেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে গতকাল নিজে সেই বার্তা দিয়েছেন তিনি। ১০ মাস পর জেলমুক্তির স্বাদ। সিধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা নরিন্দর পাল লালি তাঁর মুক্তির আগে বলেন, ‘সিধুকে স্বাগত জানাতে সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলের বাইরে ভিড় রয়েছে সমর্থকদের। লাড্ডু অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সিধুকে স্বাগত জানাতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ব্যানার ও পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।' ৫৯ বছর বয়সি পঞ্জাবের এই প্রাক্তন মন্ত্রী ১৯৮৮ সালে হওয়া অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় একবছরের সাজা ভোগ করেছেন।
বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ প্যারোলেও জেল থেকে বেরোননি বা ছুটি নেননি। পাশাপাশি জেলে তাঁর আচরণ ছিল ভালো। সেই কারণেই মাস দেড়েক আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল। সিধুর স্ত্রী বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত। এর আগে ২৬ জানুয়ারি সিধুকে মুক্তি দেওয়ার প্রসঙ্গ সামনে এসেছিল। কিন্তু, পরে পঞ্জাব সরকার সিধুকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করে। এই কারণে তাঁর মুক্তি স্থগিত করা হয়। সিধুর আইনজীবী এইচপিএস ভার্মা জানিয়েছেন, শনিবার জেল থেকে বেরিয়ে তিনি সরাসরি বাড়িতে গিয়েছেন। অনুগামীরা সিধুর মুক্তি উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে পুরি-ছোলা, দুধের লঙ্গর লাড্ডু বিতরণ করেছেন।