শস্যের এমএসপি (MSP) বা ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে। ট্যুইট করে বুধবার এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিএম কিষাণনিধি সম্মান যোজনার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি এদিন পালন করে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। সেই উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে একাধিক ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ট্যুইট অংশবিশেষে এমএসপি আর কৃষকদের আয় বৃদ্ধি নিয়ে এভাবেই সরব হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি লেখেন, 'আজ থেকে দু'বছর আগে দেশের কৃষকদের সম্মান ও মর্যাদা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী কিষাণনিধি যোজনা চালু করা হয়েছিল। দেশের মুখে খাদ্য তুলে দিতে কৃষকদের অবদান ও শ্রম অনুপ্রেরণার কারণ।'
এর আগে সংসদে কৃষি আইন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "শস্যের ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য ছিল আছে আর থাকবে। কৃষি আইন প্রণয়নে এমএসপি প্রভাবিত হবে না।"
তিনি দাবি করেছিলেন, কৃষি আইনের জেরে কোনও মান্ডি বন্ধ হবে না। ন্যূনতম বিক্রয়মূল্যেই শস্য বেচতে পারবেন কৃষকরা। এদিন ফের ঘুরিয়ে সেই এমএসপি নিয়েই ট্যুইটে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, ঐতিহাসিক টেস্টের আগে বড় খবর ভারতীয় ক্রিকেটে। দিন রাতের টেস্টের আগেই জানিয়ে দেওয়া হল, বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম নামকরণ করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগে এই স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
বতর্মানে একসঙ্গে ১ লাখ ১০ হাজার দর্শক খেলা দেখার বন্দোবস্ত রয়েছে মোতেরায়। তবে কোভিড প্রোটোকল মেনে মাত্র ৫৫ হাজার দর্শকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৬৩ বিঘা জমির উপর ৮৩০ কোটি টাকা খরচ করে এই স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। মোট দর্শকাসনের সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার। এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম ছিল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। দর্শক আসন ছিল ৯৩ হাজার। মাঠের এই দৈত্যাকৃতি আকার নিয়ে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো-র তরফে বলা হয়েছে, ৩২টি অলিম্পিক সাইজের ফুটবল মাঠের সমান।
২০১৫ সালে মোতেরা স্টেডিয়াম পুনর্নির্মানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই স্টেডিয়াম সাক্ষী থেকেছে অনেক ক্রিকেট কীর্তির। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুনীল গাভাস্কার এই মাঠেই টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক গড়েন। ১৯৯৪ সালে রিচার্ড হেডলিকে পেরিয়ে টেস্টের তৎকালীন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন কপিল দেব (৪৩২তম)।