দেশব্যাপী গণটিকাকরণের মধ্যেই কেন্দ্রকে উদ্বেগে রেখেছে মহারাষ্ট্র=পঞ্জাব। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তাই এবার কেন্দ্রীয় দল ওই দুই রাজ্যে পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য দু’টিকে সহযোগিতা করতে এই জোড়া দল কাজ করবে। এমনটাই মন্ত্রক সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবের হটস্পট এলাকাগুলো ঘুরে দেখে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখবে তারা। গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে সংক্রমিত ১০৭১ জন। গত অক্টোবরের পর থেকে এই প্রথম হাজার ছাড়াল সেই রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। পাশাপাশি দৈনিক হাজার সংক্রমণের বিচারে দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে উঠে এসেছে পঞ্জাব।
এদিকে, দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৩২৭ জন। শনিবার সকাল ৮ পর্যন্ত এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত্যুও। শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের।
মহারাষ্ট্র, কেরলের পাশাপাশি পাঞ্জাবেও এবার দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছাড়াল ১ হাজার। নভেম্বরের এই প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার পেরোল। বৃহস্পতিবার অমরিন্দর সিংয়ের রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে ১০৭১ জন। শুক্রবার মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৯৯৮ জন। যা ফের রেকর্ড গড়ল দেশে। এছাড়াও পুনেতেও নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। হু হু করে বাড়ছে অ্যাক্টিভ কেস।
এদিকে এরই মধ্যে রবিবার দিল্লির আরএমএল হাসপাতালে কোভিড টিকা নিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। শনিবার নাগপুর এইমস-এ সস্ত্রীক টিকা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। পাশাপাশি দিল্লিতে বেড়েছে কোভিড দাপট। শুক্রবার রাজধানীতে আক্রান্ত হয়েছে ৩১২ জন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল অনেকটাই। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। শুক্রবার পর্যন্ত মোট সংক্রমণের হার ৬.৬৫ শতাংশ। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০,৮৫১ টি। বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন।