পয়লা মে থেকে শুরু ১৮ বছর ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ। ২৪ এপ্রিল অর্থাৎ আজ থেকে শুরু নাম নথিভুক্তিকরণ। এই আবহে তৃতীয় দফার এই টিকাকরণে গতি আনতে রাজ্যগুলোকে একগুচ্ছ এসওপি পাঠালো কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে সেই এসওপি-তে উল্লেখ, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাসাপাসি বেসরকারি কেন্দ্র তৈরি করে টিকাকরণ চালু করুক রাজ্য।
যারা টিকা নিতে আসবেন, তাঁরা যাতে করোনাবিধি মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিক রাজ্য। একমাত্র অনলাইন নথিভুক্তিকরণ বা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকাদান হোক। এদিকে, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সঙ্কটের মোকাবিলা করতে অবিলম্বে অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর থেকে আমদানি ও স্বাস্থ্য শুল্ক ছাড় দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর ফলে আজ, শনিবার থেকেই সস্তা হল অক্সিজেন সিলিন্ডার। কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আপাতত আগামী ৩ মাস পর্যন্ত এই ছাড় বলবৎ থাকবে। অক্সিজেন ছাড়াও বিদেশ থেকে আমদানি করা করোনার টিকার ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ পণ্য পরিসেবা করের পুরোটাই ছাড় দেওয়া হবে। পাশাপাশি, অক্সিজেন সরবরাহকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং করোনার ওষুধের আমদানিতেও ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছাড়ের আওতায় রয়েছে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ফ্লো মিটার, রেগুলেটর, কানেক্টর-সহ একাধিক সরঞ্জাম।
সম্প্রতি রেমডেসিভির-এর মতো করোনার ওষুধেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তবে দেশ জুড়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সেই সঙ্কট কিছুটা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে
অপরদিকে, করোনা উদ্বেগের মধ্যে বেড়ে চলা অক্সিজেন চাহিদা নিয়ে ফের সরব হল দিল্লি হাইকোর্ট। শনিবার এক শুনানিতে কোর্ট জানিয়েছে, কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে গাফিলতি দেখলে কেন্দ্র, রাজ্য বা স্থানীয় স্তরের কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। ‘প্রয়োজনে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’, শনিবার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি কেন্দ্রকে স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে, সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কবে দিল্লিতে ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছবে।