দেশে কোভিড টিকার কোনও ঘাটতি নেই। মঙ্গলবার এই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এমনকি, জুলাই বা অগস্টের শুরুতে প্রতিদিন ১ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার জানালেন আইসিএমআর-র ডিজি বলরাম ভার্গব। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব নাগরিককে টিকা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, মঙ্গলবার ভোরে হায়দরাবাদ পৌঁছয় স্পুটনিক-ভি’র ৩০ লক্ষ ডোজ। জিএমআর হায়দরাবাদ এয়ার কার্গো সূত্রে খবর, বিশেষ চাটার্ড বিমান আরইউ-৯৪৫০ করে স্পুটনিক-ভি মঙ্গলবার ৩ টে বেজে ৪৩ মিনিটে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে।এদিন মোট ৫৬.৬ টন টিকা ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। জানা গিয়েছে, এই টিকা সংরক্ষণে বিশেষ আবহাওয়া দরকার। -২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয় এই টিকা।
অপরদিকে, মোক্ষম সময়ে কোভিড চিকিৎসায় গুড়ো ওষুধ ২-ডিজি বাজারে এনেছে ডিআরডিও। সেই ওষুধ এবার কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার গাইলাইন ডিআরডিও। সংস্থার ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) কোভিডের যে ওষুধটি তৈরি করেছে তার এক প্যাকেটের দাম ৯৯০ টাকা। রেড্ডি’জ ল্যাবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে এই ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলছে এবং শ্বাসকষ্ট দূর করছে।
এই ওষুধ আসবে প্যাকেটে। পাউডারের আকারে। যা জলে গুলে খেতে হবে। মানুষের শরীরে ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া, ক্রমাগত বৃদ্ধি আটকায় এই ওষুধ। এদিকে, মঙ্গলবার ট্যুইটের মাধ্যমে ডিআরডিও জানিয়েছে, চিকিৎসকের অনুমোদনক্রমে প্রেসক্রাইব আকারে এই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। সঙ্কটাপন্ন থেকে অতি সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীদের এই ওষুধ দেওয়া যাবে। অবশ্যই সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য। সন্তানসম্ভবা এবং শিশু-কিশোরদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। ডায়বেটিস, কিডনির মারাত্মক সমস্যা, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের অসুখ, হেপাটিক রোগীদের জন্য এই ওষুধ কতটা কার্যকরী? সেটার পরীক্ষালব্ধ ফল মেলেনি। তাই এই ধরণের রোগীদের ২-ডিজি প্রয়োগের আগে অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন