ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) সন্ত্রাসবাদী- নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযানে নামতে চলেছে। তদন্ত সংস্থা ৪৩ জন কুখ্যাত অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীর ছবি প্রকাশ করেছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাকাপাকিভাবে কানাডায় বসবাস করে।
এই ব্যক্তিরা, বিস্তৃত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে। এনআইএ অভিযুক্তদের কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করেছে।
এনআইএ যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে কিছু মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী রয়েছে, যারা দেশ থেকে ইতিমধ্যেই পালিয়েছে এবং খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তারা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত বলে অভিযোগ NIA-এর।
১. আরশদীপ গিল ওরফে আরশ ডাল্লা,: ডাল্লা, যিনি বর্তমানে কানাডায় বসবাস করছেন, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) দ্বারা সমর্থিত খালিস্তান টাইগার ফোর্স (কেটিএফ) এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে চিহ্নিত। তিনি পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক এক কংগ্রেস নেতার হত্যা সহ ভারতে সন্ত্রাসবাদের ক্রিয়াকলাপ সংগঠিত ও পরিচালনায় জড়িত বলেই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-র তদন্তে জানা যায়, তিনি কানাডা থেকে যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালান।
২. লক্ষবীর সিং লিন্ডা: বর্তমানে তিনি কানাডায় রয়েছেন। লিন্ডা পাঞ্জাবের (রকেট-চালিত গ্রেনেড) RPG হামলা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তিনি কানাডা থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী-অপরাধী সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন। লিন্ডা হাই-প্রোফাইল হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র, কমিশনিং এবং কার্যকর করার জন্য অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে কানাডায় থাকাকালীন পলাতক ও গুন্ডাদের আশ্রয় ও তহবিল দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
৩. গোল্ডি ব্রার: ব্রারকে সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করা হয়। গত বছরের মে মাসে এই পাঞ্জাবি গায়ককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
৪. লরেন্স বিষ্ণোই: ভারতের অন্যতম কুখ্যাত গ্যাংস্টার হিসাবে পরিচিত, বিষ্ণোই একটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস-অপরাধ সিন্ডিকেটের নায়ক।
৫. আনমোল বিষ্ণোই: লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোট ভাই আনমোল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে ধারণা NIA-এর। তিনি সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত।
৭. জগদীপ সিং ওরফে জগ্গু ভগবানপুরি: জগদীপ সিং, যিনি বর্তমানে একটি পাঞ্জাব জেলে বন্দী। কারাগারের আড়ালে থেকে, তিনি ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে মাদক চোরাচালান কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছে।
ভারতের অভ্যন্তরে এবং এর সীমানা জুড়ে সংগঠিত অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য NIA-এর চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বাকিরা পলাতক। বিদেশের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি সৃষ্টি করছেন।
এনআইএ জনগণের কাছে এই ওয়ান্টেড অপরাধীদের অবস্থান, সম্পত্তি এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে তাদের কাছে যে কোনও তথ্য সরবরাহ করার জন্য আবেদন করেছে।