শীতলকুচি সিআরপিএফ-র গুলিতে চার জনের মৃত্যু ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এরপর বাহিনীকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তারপরই বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। এবার দেগঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভোট চলাকালীন বাহিনী শূন্যে গুলি চালিয়েছে বলে দাবি চাকলা পঞ্চায়েতের কুরুলগাছা গ্রামের বাসিন্দাদের। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুসারে, চাকলা পঞ্চায়েতের ২১৫ নম্বর বুথ কুরুলগাছা গ্রামের মাঠে পাঁচ-ছ'জন বসেছিলেন। সেই সময় গ্রামবাসীদের তাড়া করে বাহিনী। বেশ কিছু দুর পর্যন্ত দৌড় করিয়ে শূন্যে গুলি ছোড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর গুলির খোল নিয়ে চলে যায় তারা। তবে এই ঘটনায় অবশ্য কেউ হতাহত হননি।
এক বিএসএফ জাওয়ান সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, কোনও গুলি চলেনি। গুলি চলার আওয়াজও কেউ শুনতে পাননি। তবে কমিশন, ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটে গত শনিবার শীতলকুচির পাঠানটুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের এক যুবকের। বেলা গড়াতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় জোরপাটকি এলাকায়। ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এলোপাথারি গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আরও চারজনের। নির্বাচন কমিশন জানায় সিআরপিএফ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করে সোচ্চার হয়েছেন মোদী-শাহরা। অন্যদিকে, এই ঘটনা মোদীর সম্মতিতে অমিত শাহর 'চক্রান্ত' বলে পালটা সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন