অনড় দু'পক্ষই। স্বাভাবিকভাবে পরিণতিও এক। কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রের নবম পর্যায়ের বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র। তবে, আলোচনার দরজা খোলা রাখছে উভয় শিবিরই। আগামী ১৯ জানুয়ারি কেন্দ্র-কৃষক পরবর্তী বৈঠকের দিন ধার্য হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মধ্যস্থকারী কমিটিকে সহয়তা করবে। দশম পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আমরা আশাবাদী। কৃষকরা কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালাতে রাজি- এতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটিও তাদের কাজ করছে।' উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই কৃষক প্রতিনিধিরা একমাত্র কথা বলবে বলে দাবি করেন ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত।
প্রতিবাদী কৃষকদের মূল দু’টি দাবি হচ্ছে নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল ও ফসলের ন্যূনতম মূ্ল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবি। এই দু’টি দাবি নিয়েই গতপ্রায় দু'মাস ধরে কয়েক দফা আলোচনায় সরকার ও কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে কোনও সমঝোতা হচ্ছে না। আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির হরিয়ানা-পাঞ্জাব সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
এরই মধ্যে, কেন্দ্রে নয়া তিন কৃষি আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনের সব দিক খতিয়ে দেখে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানে পৌঁছাতে কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। কমিটিতে নাম ছিন কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটি, প্রমোদ জোশী, অনিল ঘানওয়াত ও ভূপিন্দর সিং মানের। তাঁদের কেন্দ্রের আস্থাভাজন বলে আগেই আখ্যা দিয়েছেন কৃষকরা। কমিটি সদস্য পরিবর্তন করা হলেও তাঁরা মধ্যস্থতার রাস্তায় হাঁটবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। ফলে জটিলতা বাড়ে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কৃষি আইন পর্যালোচনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি কৃষি বিশেষজ্ঞ প্যানেল থেকে সরে গেলেন ভূপিন্দর সিং মান। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (মান) সভাপতি ভূপিন্দর সিং এর আগে কেন্দ্রের কৃষি আইনের পক্ষেই আওয়াজ তুলেছিলেন। চার সদস্যের কমিটির অন্যতম সদস্য বৃহস্পতিবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে কৃষকদের পক্ষে থাকার বার্তা দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি জানান, “আমি নিজে একজন কৃষক। আমি সবসময় কৃষক এবং পাঞ্জাবের পাশে থাকব।”
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন