দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থানগুলিতে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে একটি স্পষ্ট নিয়ম আনা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের, এমনই মনে করে মহারাষ্ট্র সরকার। ধর্মীয় স্থানগুলিতে লাউডস্পিকার বাজানো ইস্যুতে সোমবারই সর্বদলীয় বৈঠক করে মহারাষ্ট্র সরকার। বৈঠকে ঠিক হয়েছে এব্যাপারে এবার খোদ কেন্দ্রের সঙ্গেই আলোচনা হবে। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার মহারাষ্ট্রে এই সর্বদলীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাটিল ও শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ''কেন্দ্রীয় সরকারকে এমন একটি আইন নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করব যা সারা দেশে প্রযোজ্য হবে। ওই আইন এটি নিশ্চিত করবে যে এই ধরনের পরিস্থিতি দেশের কোথাও না ঘটে।'' অন্যদিকে, শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেন, ''রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।''
আরও পড়ুন- অবশেষে গুজরাটের দলিত বিধায়ক জিগনেশের জামিন মঞ্জুর
তবে রাজ্য সরকার বর্তমানে মহারাষ্ট্রের ধর্মীয় স্থানগুলিতে থাকা লাউডস্পিকার সরাতে পারে না বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এব্যাপারে যাঁরা সেগুলি লাগিয়েছেন তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেবন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে এই বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়েছিল এবং পরে ২০১৫ এবং ২০১৭-এর মধ্যে, মহারাষ্ট্র সরকার একই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা নিয়ে এসেছিল। ওই নির্দেশিকাগুলির উপর ভিত্তি করেই রাজ্যে লাউডস্পিকারগুলি চলছে।
এদিন লাউডস্পিকার ইস্যুতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ''মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ভজন, কীর্তন, গণপতি মিছিল এবং নবরাত্রির সময় লাউডস্পিকার ব্যবহারেও এর প্রভাবও বিবেচনা করতে হবে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজনের জন্য আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কেউ আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বৈঠকে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।"
Read full story in English