গতকালই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনডিএ। নির্বাচনের আগেই যেন তিনি জিতে গিয়েছেন এমন অবস্থা। আজ, বুধবার দ্রৌপদী মুর্মুকে জেড প্লাস নিরাপত্তা প্রদান করল মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপালকে জেড প্লাস ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। তার মানে সর্বক্ষণের জন্য সিআরপিএফ জওয়ানদের দল তাঁকে ঘিরে থাকবে।
এদিন সকাল থেকে সশস্ত্র বাহিনী তাঁর সুরক্ষার দায়িত্বে মোতায়েন হয়েছে। পিটিআই সূত্রে খবর, ৬৪ বছরের দ্রৌপদী এই কেন্দ্রীয় সুরক্ষা পেয়ে যারপরনাই ভীষণ খুশি। তিনি বলেছেন, "আমি যেমন বিস্মিত তেমনই আনন্দিত। ময়ুরভঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন আদিবাসী মহিলা হিসাবে আমি দেশের শীর্ষ পদের প্রার্থী হব তা ভাবিনি।"
এদিকে, দ্রৌপদী এনডিএ প্রার্থী হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, "শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর সমস্ত জীবন সমাজের সেবা এবং গরিব, দুস্থদের শক্তিকরণে, প্রান্তিকদের সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত করেছেন। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা এবং অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে। মাটির কাছের মানুষ তিনি। আমি নিশ্চিত তিনি দেশের একজন মহান রাষ্ট্রপতি হবেন।"
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার রাজনীতিতে পা রাখেন ১৯৯৭ সালে। রাইরংপুর নগর পঞ্চায়েতে কাউন্সিলর পদে জেতেন। তার পর রাজ্য বিজেপির তফসিলি মোর্চার সভানেত্রী হন। ২০০০ সালে বিজেপি-বিজেডি জোট সরকারের সময় তিনি বাণিজ্য এবং পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। তার পর মৎস্য এবং প্রাণিবিকাশ দফতরের দায়িত্বও পান।
আরও পড়ুন শিক্ষিকা থেকে মন্ত্রী, এবার NDA-র রাষ্ট্রপতি প্রার্থী, আদিবাসীদের কাছে ‘মাটির মানুষ’ দ্রৌপদী মুর্মু
২০১৫ সালে তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল মনোনীত হন। ২০২১ পর্যন্ত ওই পদ অলঙ্কৃত করেন। ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু বহু ট্রাজেজি দেখেছেন। স্বামী শ্যামচরণ মুর্মু এবং দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। এক মেয়ে রয়েছে। তিনি বিবাহিত। বিএ ডিগ্রিধারী মুর্মু ওড়িশা সরকারের সেচ ও বিদ্যু দফতরে জুনিয়র সহায়ক পদে চাকরি করেছেন। রাইরংপুরে শিক্ষিকার চাকরিও করেছেন তিনি।