করোনা পর্বে দেশের মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প উদ্যোগের জন্য স্বস্তির খবর। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ছমাসের জন্য মকুব করা হবে। করোনা অতিমারীর জেরে ছোট শিল্পোদ্যোগ এবং মধ্যবিত্তদের কথা ভেবেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। তবে সংসদের অনুমতি নিয়েই এই ছাড় দেবে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র এটাও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের জন্য ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা এবং গৃহঋণের জন্য ৭০ হাজার কোটি টাকা গরিব কল্যাণ যোজনা এবং আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক একটি হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, মোরাটারিয়াম সুবিধা না পাওয়া ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি দিতে কেন্দ্র চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ছমাসের জন্য মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে লকডাউন পর্বে ধুঁকতে থাকা ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতাদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে ২ কোটি পর্যন্ত ঋণের উপর। মোট আট ক্ষেত্রের ঋণের উপর এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে। সেগুলি হল, কুটির-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, শিক্ষা, গৃহঋণ, উপভোক্তা ঋণ, ক্রেডিট কার্ড বকেয়া, গাড়ি, পার্সোনাল এবং কনসামপশন। তবে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের উপর।
আরও পড়ুন শীতে ভারতীয় সেনার অ্যাডভানটেজ, অটল টানেলের উদ্বোধন করলেন মোদী
এর আগে মোরাটারিয়াম সংক্রান্ত নির্দেশ পালন না হওয়ার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক ও কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র নতুন হলফনামায় বলেছে যে, "চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ মকুবের ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে আর্থিক বোঝা নেমে আসবে ব্যাঙ্কগুলির উপর। আমানতকারীদের আর্থিক ক্ষতি না করে বা তাদের নেট সম্পত্তির বিরূপ প্রভাবিত না করে ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে বোঝা বহন করা অসম্ভব। যা বৃহত্তর জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে।" এতে আরও বলা হয়েছে যে, "এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সমাধান হল "সরকার সুদ মকুবের ফলে বোঝা বহন করবে এবং এতে আদালত সন্তুষ্ট হবে যে এই সরকার এই বোঝা বহন করবে। এর ফলে আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতায় প্রভাব পড়বে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন