শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চার বাঙালি বিজ্ঞানী। এই চার বিজ্ঞানী হলেন- রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, চিকিৎসায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গাঙ্গুলি, পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার পেয়েছেন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের অনিন্দ্য দাস এবং মুম্বই টিআইএফআরের বাসুদেব দাশগুপ্ত। পুরস্কার পাওয়ার খবরে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারত সরকারের বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বা কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) প্রতিবছর দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গবেষণা ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য 'শান্তি স্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার' ( এসএসবি) দিয়ে থাকে। জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান (পৃথিবী, বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর, গ্রহবিজ্ঞান), ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং শারীরিক বিজ্ঞান-সহ সাতটি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য (গবেষণার জন্য) এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছে বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা তথা পরিচালক শান্তি স্বরূপ ভাটনগরের নামে। ২০২২ সালের জন্য এবছর মোট ১২ জন বিজ্ঞানীকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন সিএসআইআরের অধিকর্তা এন কালাইসেলভি।
১৯৫৮ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণায় নিযুক্ত কোনও ভারতীয় নাগরিক এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ভারতে করা কাজের ভিত্তিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার। পাশাপাশি, প্রাপকরা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিমাসে ১৫,০০০ টাকা করে পান। এই পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বড় আঘাত চিনের ওপর! বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ইতালি, কারণটা কী?
বিজ্ঞানে অবদানের জন্য দেশের সেরা পুরস্কারে চার বাঙালির নাম থাকায় খুশি দেশের অন্যান্য বাঙালি বিজ্ঞানীরা। এই ব্যাপারে খড়গপুর আইআইটির কমপিউটার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সের অধ্যাপক দেবদীপ মুখোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'গবেষণার ক্ষেত্রে বাঙালিদের বরাবরই একটা প্রবণতা রয়েছে। প্রতিবারই দেখবেন ভাটনগর পুরস্কারে বাঙালিদের নাম থাকে। তার কারণ, প্রশ্ন করার অভ্যেস বাঙালির মজ্জাগত। আমরা চিন্তা করতে পারি। সেই কারণেই গবেষণায় সাফল্য পাই। জগদীশচন্দ্র বসু থেকে সত্যেন বোস, এই ধারাবাহিকতা চলছে।'
এদিন পুরস্কার ঘোষণার পরপরই এক্স-এ বাঙালি বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।