India-Pakistan Tension: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবার বড়সড় কোনও পদক্ষেপের পথে মোদী সরকার? সেই কারণেই কি রাজ্যে-রাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ মক ড্রিল পরিচালনার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের? বিষয়টি স্পষ্ট না হলেও আশঙ্কা একটা রয়েছে। ৭ মে অর্থাৎ বুধবার রাজ্যগুলিকে মক-ড্রিল পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
৫৪ বছর পর দেশে বিমান হামলা ঠেকাতে বিশেষ মক ড্রিলের নির্দেশ। ভারত-পাকিস্তান চরম উত্তেজনা আবহে কেন্দ্রের বড় পদক্ষেপ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আগামী ৭ মে রাজ্যগুলিকে মক ড্রিল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বেশ কয়েকটি রাজ্যকে মক ড্রিল পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে। পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যেই সরকারের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
আগামী ৭ মে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিভিল ডিফেন্স (নাগরিক প্রতিরক্ষা) নিয়ে একটি মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর লক্ষ্য — শত্রু পক্ষের আক্রমণের সময় সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে, সে বিষয়ে আগাম প্রস্তুত থাকা ও সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। এই ধরনের সর্বভারতীয় সিভিল ডিফেন্স মহড়া এর আগে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে, যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে দেশজুড়ে সতর্কতা জারি ছিল।
পাঞ্জাবে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি
ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড ৪ মে একটি ব্ল্যাকআউট মহড়া আয়োজন করেছে, যেখানে রাত ৯টা থেকে ৯.৩০ টা পর্যন্ত সেনা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। এই অনুশীলনের উদ্দেশ্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্ল্যাকআউট কৌশল প্রয়োগের প্রস্তুতি।
পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে, বা যারা হামলা চালিয়েছে তারা এমন শাস্তি পাবে যা তারা কল্পনাও করতে পারছে না। ইতিমধ্যে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পহেলগাঁও কাণ্ডে সেনাবাহিনীকে পালটা আক্রমণের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলেই সরকারি সূত্রে খবর।
এর মাঝেই এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে (MHA) সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৭ মে সারা দেশে মক ড্রিল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই মক ড্রিলের উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষ, স্কুলের শিশু এবং নাগরিকদের শেখানো যে শত্রু দেশ থেকে আক্রমণ হলে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে রাজ্যগুলি ৭ মে কার্যকর নাগরিক নিরাপত্তার জন্য মক ড্রিলের আয়োজন করবে। এয়ার রেড সাইরেন থেকে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের।
সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুসারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেনের মক ড্রিল পরিচালনা করতে বলেছে। এর অধীনে,এয়ার রেড সাইরেন থেকে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, মানুষকে সতর্ক করা এবং নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার অনুশীলন করা হবে। এছাড়াও, নাগরিক প্রতিরক্ষা দল, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ নাগরিকদেরও এই মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে সকলেই জানতে পারে যে এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিশেষভাবে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিকে, মক ড্রিল পরিচালনা করতে বলেছে। তবে, দেশব্যাপী প্রস্তুতি জোরদার করার জন্য অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও এই মহড়ায় যোগ দিতে বলা হয়েছে।