ওমিক্রনের হানায় ঘুম উড়েছে সরকারের। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার অ্যাডভাইজরি জারি করল কেন্দ্র। বর্ষশেষের উৎসবের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় স্তরে বিধিনিষেধ জারি করার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে আরও কঠোর এবং কেস পজিটিভিটি নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
ভারতে হু-হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ২৩৬ হয়ে গেছে। দেশের ১৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হদিশ মিলেছে করোনাভাইরাসের এই মারণ প্রজাতির। তবে স্বস্তির খবর ইতিমধ্যেই ১০৪ জন সুস্থ হয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী।
মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে দিল্লি (৬৪)। তেলেঙ্গানা (২৪), রাজস্থান (২১), কর্ণাটক (১৯) এবং কেরলে (১৫) থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। এই অবস্থায় রাজ্যগুলির জন্য নয়া গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র। প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি লিখে ওয়ার রুম সক্রিয় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
এবার ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬.৩০ নাগাদ গুরুত্বপূর্ণ কোভিড রিভিউ বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিক, কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে।
এদিকে, দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে ৩৩ জনেরই করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া রয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ এক কর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন হু-হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, সন্ধেয় জরুরি বৈঠকে বসছেন মোদী
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত প্রত্যেকেরই কয়েকটি উপসর্গ ছিল। সবারই হালকা জ্বর, গলা ব্যথা এবং শরীরে ব্যথার মতো হালকা লক্ষ্মণ ছিল। তবে তাঁদের কাউকে অক্সিজেন সাপোর্ট বা ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হয়নি।
ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন হানায় মৃত্যু বা রোগীর আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এমন উদাহরণ মেলেনি। লোকনায়ক হাসপাতালের অধিকর্তা এবিষয়ে বলেন, “এখনও পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে শুধুমাত্র হালকা লক্ষণ দেখেছি। তবে, এটি টিকা দেওয়ার কারণেও হতে পারে। যদি সংক্রমণটি গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তবে ভয়ের কারণ থাকবে। কারণ এক্ষেত্রে যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের গুরুতর লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন