বাজার চলতি ৩২৮টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (FDCs) ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নিষিদ্ধ করা এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছ স্যারিডন (মাথা ব্যাথার ওষুধ), ট্যাক্সিম ও-জেড (অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল) এবং প্যানডার্ম প্লাস (ত্বকের মলম), গ্লুকোনর্ম পিজি (ডায়াবেটিসের ওষুধ) লুপিডিকলক্স (অ্যান্টিবায়োটিক)। অবিলম্বে এই ওষুধগুলির উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির ওপর ভ্যাট কমাতে রাজ্যদের কাছে অনুরোধ পীযূষ গোয়েলের
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষণা করা এই ওষুধগুলির মধ্যে কোনও ভেষজ কার্যকারিতা নেই। বরং মানুষের শরীরে ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াচ্ছিল এগুলি। ২০১৬-র মার্চেই এই ধরনের ওষুধগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কারণ একাধিক ওষুধের সংমিশ্রনে (fixed-dose combinations বা FDCs) বা বলা যেতে পারে দুই বা ততোধিক যোগের মিশ্রণে বানানো হত এই ওষুধগুলি, ফলস্বরূপ দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখোমুখি হতেন রোগীরা।
329 Banned Fdc Drugs Wef 12... by on Scribd
তবে সে সময় আপত্তি জানিয়ে আদালতে মামলা করে একাধিক ফার্মা সংস্থা৷ এরপর শীর্ষ আদালত ২০১৭ সালে বিষয়টি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেয়৷ সেই রিপোর্টেও শতাধিক ওষুধ বাতিলের সুপারিশ করে বোর্ড জানায়, ৩২৮টি ওষুধে যে যৌগ ব্যবহার করা হয়েছে তা মানবশরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকারক৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে এই ৩২৮টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (FDCs) ওষুধ বিক্রি এবং বন্টনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সভাপতি দীপনাথ রায়চৌধুরি জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাজার থেকে প্রায় ৬ হাজারটি ব্র্যান্ডের ওষুধ তুলে নিতে হবে কোম্পানীদেরকে। যাদের বাজারমূল্য আনুমানিক দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। তবে শীর্ষ আদালতের এই রায়কে সম্মান জানিয়েছেন তিনি।
অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্কের মালিনী আইসোলাও সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতির বিচার করে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "ভারতবর্ষের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক ওষুধের ভোক্তা হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।" তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও প্রায় ১৫ টি ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন (FDCs) ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়নি।