ঘোরতর সমস্যায় ডুবে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি দেখে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার ওই বৈঠক হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্রের তামিল বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে ভারতের হস্তক্ষেপ চাইল তামিলনাড়ুর দুই দল দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগাম (ডিএমকে) এবং অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগাম (এআইএডিএমকে)।
সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে এক বৈঠকে ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে- দুই দলই সরকারের কাছে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ তুলেছিল। বিশেষ করে সেখানকার তামিল জনজাতির পরিস্থিতি নিয়েই তারা কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বৈঠক শেষে ডিএমকে নেতা টিআর বালু ও এআইএডিএমকে নেতা এম থাম্বিদুরাই তাঁদের দাবি সম্পর্কে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সমস্যা মেটার নামগন্ধ দেখা যাচ্ছে না। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা অন্যতম। ভারতের দক্ষিণে জলসীমার নিরাপত্তার কারণেই শ্রীলঙ্কার ওপর ভারতের প্রভাব অত্যন্ত জরুরি।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সংসদীপ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর দু'জনেই উপস্থিত থাকবেন। সর্বদলীয় বৈঠকে সীতারামন ও জয়শংকর মিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানা, নিহত সিআরপিএফ আধিকারিক
এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, ১৯ জুলাই, সংসদে বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠক হতে চলেছে। ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার গণতান্ত্রিক কাঠামোকে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে নয়াদিল্লি সম্মান করে। সেই কারণেই ভারত চায়, শ্রীলঙ্কায় স্থিতাবস্থা এবং আর্থিক নিরাপত্তা বজায় থাকুক।
একইসঙ্গে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক অচলাবস্থা দূর হোক। শ্রীলঙ্কার স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনাকে একথা জানিয়েছেন কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশনার গোপাল বাগলে। শনিবারই বাগলের সঙ্গে আবেবর্দেনার বৈঠক হয়েছে। তার একদিন আগেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে গোটাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন আবেবর্দনা। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, শীঘ্রই শ্রীলঙ্কায় নতুন এবং স্থায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে।
Read full story in English