কেন্দ্রের অনুমোদনেই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি! সুপ্রিম কোর্টে তোলপাড় করা তথ্য দিল গুজরাট সরকার। সোমবার তারা শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, দোষীদের ১৪ বছর সাজা সম্পূর্ণ হয়েছিল এবং জেলে তাঁদের ভদ্র আচরণের কারণে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মুক্তির অনুমোদন দেয়। আদালতে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে মোদীর রাজ্যের সরকার।
প্রসঙ্গত, বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় গুজরাট সরকার হলফনামা জমা দিয়েছে। গুজরাট সরকার এও জানিয়েছে, পুলিশ সুপার, সিবিআই, বিশেষ ক্রাইম ব্রাঞ্চ-মুম্বই এবং স্পেশ্যাল সিভিল জাজ (সিবিআই), নগর ও দায়রা আদালত- গ্রেটাররর বম্বে গত বছর মার্চে দোষীদের মুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিল।
গোধরা উপ-সংশোধনাগারের সুপারকে চিঠিতে সিবিআই আধিকারিকরা জানান, দোষীরা যে অপরাধ করেছে তা নৃশংস, ঘৃণ্য এবং অত্যন্ত গর্হিত। তাই তাঁদের মুক্তি দেওয়া তো দূরের কথা, কোনও রকম দয়াও দেখানো উচিত নয়। এমনকী বিচারকও জানিয়েছেন, দোষী সাব্যস্তরা নিরাপরাধকে ধর্ষণ এবং খুনের মতো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। দোষীদের সঙ্গে আক্রান্তের কোনও শত্রুতা ছিল না। শুধুমাত্র অন্য ধর্মের হওয়ার কারণে এমন নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়। শিশুকেও রেয়াত করেনি এঁরা। এটা মানবতা-বিরোধী এবং জঘণ্য অপরাধ। সমাজের বিবেককে আঘাত করে। সমাজকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চূড়ান্ত ব্যর্থ, কর্ণাটক সরকারকে ২৯০০ কোটি জরিমানা পরিবেশ আদালতের
যদিও চলতি বছর ১৩ মে সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় জানায় যেহেতু ঘটনা গুজরাটে হয়েছে তাই ওই রাজ্যের সরকার সিদ্ধান্ত নেবে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হবে কি না। ২০০৪ সালে মুম্বই থেকে ট্রায়াল গুজরাটে স্থানান্তর করে। গুজরাট সরকার ১৯৯২ সালের মুক্তি নীতি অনুযায়ী হলফনামায় জানায়, জেলের আইজি, পুলিশ সুপার, সিবিআই, বিশেষ ক্রাইম ব্রাঞ্চ-মুম্বই এবং স্পেশ্যাল সিভিল জাজ (সিবিআই), নগর ও দায়রা আদালত- গ্রেটার বম্বে প্রত্যেকের মতামত নিয়ে সাজা শেষ হওয়ার আগেই দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়।