আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিয়ে তৈরি ধোঁয়াশায় এবার নরম সুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গলায়। আইনি জটিলতার কারণে ১৭ মে জারি হওয়া নির্দেশিকায় ১০০ শতাংশ কভারেজের বদলে প্রচেষ্টার ভিত্তিতে এই অ্যাপ ডাউনলোডের কথা জানিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক থাকলেও বেশ কিছু জটিলতায় সেই নিয়মের ফাঁস কিছুটা শিথিল করেছে কেন্দ্র।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়, "সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার সুরক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই কর্মচারীদের মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি আছে কি না তা নিশ্চিত করা উচিত নিয়োগকর্তাদের। কীভাবে এই অ্যাপটি ফোনে থাকলে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের গতিবিধি জানা যাবে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনও পরামর্শ দিতে পারবেন জনগণকে।"
প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার লকদাউন শুরুর সময় কেন্দ্রের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে কনটেন্টমেন্ট জোনে ১০০ শতাংশ আরোগ্য সেতুর ব্যবহার করতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকেই। বেসরকারি এবং সরকারি সব ক্ষেত্রেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক। বেসরকারী ক্ষেত্রে কর্মীরা অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন কি না তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল সংস্থার প্রধানদের।
কিন্তু পরবর্তীতে এই অ্যাপ ডাউনলোড এবং কিছু আইনি জটিলতার কারণে নিয়মে বদল আনতে বাধ্য হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে নির্দেশিকায় এও বলা হয় যে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা আছে এই অ্যাপকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করায়। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের জন্য এই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলকই আছে। দিল্লিতে নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডা এলাকায় এই অ্যাপ ডাউনলোড না করা হলে ১০০০ টাকা অবধি জরিমানার কথাও বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকার বিষয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি এন শ্রীকৃষ্ণ বলেন, "কোন আইনের ভিত্তিতে এটিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে? এখনও পর্যন্ত এটি কোনও আইনকেই সমর্থন করে না। জাতীয় পর্যায়ে এই নির্দেশ অত্যন্ত আপত্তিজনক।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন