কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা এএসআইকে কুতুব মিনারে খোঁড়াখুঁড়ির নির্দেশ দিয়েছে। এমন সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয়েছে হইচই। যদিও সংস্কৃতি মন্ত্রক খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, এমন কোনও নির্দেশ জারি হয়নি। শনিবারই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব গোবিন্দ মোহন কুতুব মিনার পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি নাকি কুতুবউদ্দিন আইবক না বিক্রমাদিত্য মিনারটি তৈরি করেছিলেন, তা নিশ্চিত করতে এএসআইকে খননকার্য চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এমন খবর রটে যায়।
তারপরই মন্ত্রক জানায়, এটা ছিল রুটিন পরিদর্শন। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত পরিদর্শন করেন এএসআই কর্তারা। সেই কারণে কুতুব মিনারও পরিদর্শন করেছেন সংস্কৃতিসচিব। সংস্কৃতি মন্ত্রক একথা বললেও, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে শনিবার, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব সেখানে ঘণ্টা দুয়েক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এছাড়াও ছিলেন ঐতিহাসিকদের একটি দল। তাঁরা সেখানে কুতুব মিনারের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। সম্প্রতি জাতীয় সৌধ কর্তৃপক্ষ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে একটি চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ওই জায়গা থেকে গণেশের দুটি মূর্তি 'অসম্মানজনক' জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরই শনিবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিবের নেতৃত্বাধীন দলটি, 'কুয়াত উল ইসলাম' এলাকা পরিদর্শন করেন। বর্তমানে সেখানেই রাখা হয়েছে গণেশের দুটি মূর্তি।
আরও পড়ুন- অবাক কাণ্ড! মোদী সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইমরান খান
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব তাঁর নির্দেশে এএসআইকে ওই দুই গণেশের মূর্তি-সহ কুতুব মিনারে রাখা হিন্দু ও জৈনদের বিভিন্ন মূর্তির ছবি সাইনবোর্ডে এঁকে দিতে বলেছেন। সেখানে ওই সব মূর্তিগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মিনারের বয়সসীমা জানার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কোনও নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব দেননি। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞ দলটি আশেপাশের আনাং তাল হ্রদও পরিদর্শন করেছে। কুতুব মিনারের পাশাপাশি, এই হ্রদকেও জাতীয় পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে এএসআই।
Read full story in English