কুখ্যাত সন্ত্রাসবাসী হাফিজ সইদের পুত্র তালহা-কে 'জঙ্গি' হিসাবে চিহ্নিত করল কেন্দ্র। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তালহা-কে জঙ্গি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।
বাবা হাফিস সইয়েদ মতো ছেলে তালহাও জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য তালহা অর্থ সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে, 'কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে হাফিজ তালহা সইদ সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত এবং হাফিজ তালহা সইদকে ইউএপিএ আইনের অধীন জঙ্গি হিসাবে অবহিত করা উচিত। তাই, কেন্দ্রীয় সরকার সংশ্লিষ্ট আইনের চতুর্থ তফসিলে নিম্নোক্ত সংশোধনী করে হাফিজ তালহা সইদকে জঙ্গি বলে চিহ্নিত করছে।'
হাফিজ-পুত্র ৪৭ বছরের তালহা সইদ লস্কর-ই-তৈইবার (এলইটি) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে কাজ করে এবং সংগঠনের অর্থ নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৯ সালে, লাহোরে একটি রেফ্রিজারেটরের দোকানের বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা চালিয়েছিলেন তালহা। সেই কাজ করতে গিয়ে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছিল সে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, তালহা লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের ক্লারিক্যাল উইংয়ের মাথা। তার বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ পরিকল্পনায় মদত, অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, নাশকতা কোথায়, খখন, কীভাবে সংগঠনিত হবে তাও ঠিক করতেন তালহা।
আফগানিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপে তালহা সইদ জড়িত বলে দাবি করেছে ভারত। এছাড়া পাকিস্তান জুড়ে সক্রিয় বিভিন্ন এলইটি শাখা ও তাদের কার্যকলাপ পরিদর্শন করত সে। বক্তৃতার সময় ভারত, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদের প্রচার চালাত সে। নিশানা করত আমেরিকা সহ অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিকে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইউএপিএ আইন সংশোধন করে কেন্দ্র। যার মাধ্যমে হাফিজ সইদ, জাকি-উর-রহমান লাখভি, মাসুদ আজহার এবং ডন দাউদ ইব্রাহিমকে জঙ্গি হিসাবে ঘোষণা করেছিল দিল্লি।
হাফিজ সইদ ভারতে ২৬/১১-র জঙ্গি নাশকতার মাস্টারমাইন্ড। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আর্থিক নয়ছয়েরও অভিযোগ রয়েছে। পাকিস্তানের এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গি সংগঠনেরও প্রধান। ইতিমধ্যেই হাফিজের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। শুক্রবার হাফিজ সইদকে ৩২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।
Read in English