চলতি মাসের শুরুতে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সেনার গুলিতে ১৪ জন নিরাপরাধ মানুষের হত্যার ঘটনা ঘটে। উত্তাল হয় উত্তর-পূর্ব ভারত সহ গোটা দেশ। তারপর থেকে জোরাল হয়েছে আফস্পা প্রত্য়াহারের দাবি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্য থেকে আফস্পা প্রত্য়াহারের দীর্ঘ দিনের দাবি খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করা হচ্ছে। ওই প্য়ানেল সব বিচার করে ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার জেরে নাগাল্যান্ডকে 'উপদ্রুত এলাকা'র তকমা দেওয়া হয়েছিল। সেই তকমা বাতিল করা যায় কিনা, কমিটি তাও খতিয়ে দেখবে।
নাগাল্যান্ডের দাবি-দাওয়া নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও-র সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই আফস্পা প্রত্য়াহারের দাবি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই বৈঠকে ছিলেন নাগাল্যান্ডজের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাট্টন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টি আর জেলিয়াং ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও।
এক বিবৃতি জানানো হয়েছে যে, কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। এই কমিটির সদস্য থাকবেন নাগাল্যান্ড পুলিশের ডিজিপি ও রাজ্যের মুখ্য সচিব।
উল্লেখ্য, আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে গত সোমবারই নাগাল্যান্ড বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ হয়েছিল।
নয়ের দশক থেকে আসাম, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় সব রাজ্যতে ‘উপদ্রুত এলাকা’ হিসাবে চিহ্নিত করে কেন্দ্র। ওইসব রাজ্যে সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেয় কেন্দ্র। অভিযোগ, এই আইনকে হাতিয়ার করে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোয় অত্যাচার চালায় সেনাবাহিনী। ফলে সক্রিয় হয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সম্প্রতি মন জেলায় ১৪ জনের হত্যার ঘটনা আগুনে ঘি ঢালে। জোরাল হয় আফস্পা প্রত্য়াহারের দাবি। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি নিয়ে বৈঠক করে কেন্দ্র।
Read in English