করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের দাপট এবার গ্রামীণ ভারতেও। শহরের পাশাপাশি, গ্রাম ও মফস্বলেও দাপট দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস। রবিবার এই মর্মে গ্রামীণ এলাকা এবং মফস্বলগুলির জন্য নয়া কনটেনমেন্ট গাইডলাইন জারি করল কেন্দ্র। মৃদু উপসর্গ এবং কোমর্বিডিটির রোগীদের জন্য কমপক্ষে ৩০ বেডের সেফ হোম বা কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, গ্রামীণ এলাকা, মফস্বল এবং আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেও করোনা প্রকোপ বাড়ছে। সেই কারণে মন্ত্রকের তরফে কোভিড কনটেনমেন্ট এবং ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন জারি করা হয়েছে এই এলাকাগুলির জন্য। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিকে কোভিড সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এই এলাকাগুলিতে সেফ হোম তৈরি করা হলে, সেখানে যেন আক্রান্ত এবং কোভিড উপসর্গের ব্যক্তিদের আলাদা ভাবে রাখা হয়। প্রবেশ এবং প্রস্থানের দরজাও যেন পৃথক করা হয়। গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনও মতেই যেন দুই ধরনের রোগী একসঙ্গে না থাকে। প্রত্যেক গ্রামে ইলি এবং সারি রোগের পর্যবেক্ষণ করা পর্যায়ক্রমে। এই ক্ষেত্রে আশা কর্মীদের সাহায্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মীদেরও দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের মাধ্যমে টেলি-মেডিসিন ব্যবস্থা করা এবং কোমর্বিডিটি বা অক্সিজেন মাত্রা কমের ক্ষেত্রে ভাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং আশাকর্মীদের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।