সারা বিশ্বে আবারও দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা। সামনে এসেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ কোভিডের বলি হচ্ছেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভারতেও শুরু হয়েছে চুড়ান্ত প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আধিকারিক এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন।
বিশ্বের একাধিক দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে টিকাদান থেকে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবকিছুর কথা বলা হয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে আগত ভ্রমণকারীদের জন্য জারি করা নির্দেশিকাতে কী কী বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।
যে সকল যাত্রী বিদেশ থেকে ভারতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা ভারতে আসছেন তাদের অবিলম্বে টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণকরাকালীন সময়ে আপনাকে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সমস্ত এয়ারলাইন্সকেও এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে ভ্রমণের সময় এবং সমস্ত এন্ট্রি পয়েন্টে যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক।
কোন যাত্রীর মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ দেখা গেলে তাকে নিয়ম অনুযায়ী আইসোলেশন করতে হবে। যাত্রীদের ডি-বোর্ডিং করার সময়, শারীরিক দূরত্বের প্রতি নজর দেওয়ার কথা নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে। বিমানবন্দরে নামার পর যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। প্রবেশপথে স্বাস্থ্য কর্মী মোতায়েন করতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্ক্রিনিংয়ের সময় যদি কোনো যাত্রীর মধ্যে লক্ষণগুলি পাওয়া যায়, তাহলে তাদের অবিলম্বে আইসোলেট করে এবং নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
যাত্রীদের যথাযথ কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে। ফ্লাইটে মোট যাত্রী সংখ্যার দুই শতাংশের র্যানডাম টেস্টিং করতে হবে। বিমানবন্দরে পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরীক্ষার পর যদি কোনো যাত্রীর নমুনা পজিটিভ পাওয়া যায়, তাহলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য INSACOG ল্যাবে পাঠাতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশিকায় যাত্রীদের নিজেদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। কোন সমস্যা হলে নিকটস্থ হেল্পডেস্ক বা হেল্পলাইন নম্বরে কল করতে পারেন (১০৭৫)। এই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে যে বিমানবন্দরে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের র্যানডাম টেস্টের প্রয়োজন নেই তবে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে প্রোটোকলের অধীনে শিশুর পরীক্ষা করা যেতে পারে।