প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আগামী বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে মহিলাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি, মহিলাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি উচ্চপদে দায়িত্বও দেওয়া হচ্ছে। সেই ধারা মেনেই গত মাসে জারি করা এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বলেছে যে ২০২৪ সালে কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং অন্যান্য পারফরম্যান্সের মার্চিং, ব্যান্ড এবং ট্যাবলো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মহিলারাই অংশ নেবেন।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ফেব্রুয়ারিতে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরামেনের সভাপতিত্বে এক বৈঠকের পরে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। বৈঠকে সেনার সার্ভিস সদর দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সংস্কৃতি ও শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। নির্দেশনামায় অংশগ্রহণকারী সব মন্ত্রক, বিভাগ, সংস্থাকে এজন্য প্রস্তুতিও শুরু করতে বলা হয়েছে। আর, উদ্দেশ্য পূরণে কতটা অগ্রগতি ঘটল, তা-ও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা সিদ্ধান্তটিই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আচমকাই নিয়েছে। যে সিদ্ধান্ত অনেককেই বিস্মিত করেছে। আর, বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড়ও তুলেছে।
যাইহোক, সূত্রের খবর, কুচকাওয়াজে মহিলাদের সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব থাকলেও সেনার পদাতিক বাহিনীর মতো কিছু ক্ষেত্রে মহিলা অংশগ্রহণকারী থাকবে না। সেনাবাহিনী এখনও মহিলাদের জন্য পদাতিক, যান্ত্রিক পদাতিক এবং আর্মড কর্পসের মতো কোর কমব্যাট আর্মস কর্পে মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করেনি। সম্প্রতি রেজিমেন্ট অফ আর্টিলারিতে পাঁচ জন মহিলা অফিসারকে নিয়োগ করেছে। এই বাহিনীও একটি সরাসরি যুদ্ধের বাহিনী।
আরও পড়ুন- আকাশপথে চলছে নজরদারি, মণিপুর থেকে ২৩ হাজার নাগরিককে সরানোর দাবি সেনার
এমনিতে সশস্ত্র বাহিনীর মহিলা আধিকারিকরা গত কয়েক বছর ধরেই সেনার বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। যেমন এই বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ভারতীয় বায়ুসেনার মার্চিং কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার সিন্ধু রেড্ডি। তিনি একজন এমআই-১৭ হেলিকপ্টার চালক। ছিলেন লেফটেন্যান্ট ক্যাডার দিশা অমৃত। তিনি নৌবাহিনীর ডর্নিয়ার ২২৮ সামুদ্রিক টহলদারি বিমানের একজন পর্যবেক্ষক। যা ১৪৪ জন নাবিকের নেতৃত্ব দেয়।