ভিডিও কাণ্ডের জের! টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্র পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নতুন আইটি নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। 'আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে" এমন ভিডিওর প্রচলন আইনের অধীনে অনুমোদিত নয়', সরকার সতর্ক করে বলেছে।
'মণিপুরে দুই মহিলার নগ্ন ভিডিও শেয়ার বন্ধ করার নির্দেশ' কেন্দ্রের। টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে অবিলম্বে এই নির্দেশ মেনে চলার আদেশ দেওয়া হয়েছে। মণিপুরে ভিডিও কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এরমাঝেই ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, "মণিপুরের এই ঘটনা সাংবিধানিক অপব্যবহারের সবচেয়ে বড় নির্দশন... সরকার যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে শির্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে”। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সভাপতিত্বে একটি বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে ঘটনার গুরুত্ব ব্যাখা করে জানিয়েছে আদালত সরকারকে মণিপুর পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু সময় দেবে, সরকার ব্যর্থ হলে আদালত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।
এদিকে মণিপুরের ভিডিও কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল তিনটি দাবি তুলে ধরেছেন। তার মধ্যে রয়েছে মণিপুর হিংসা বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং মহিলাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। চিঠিতে, স্বাতী মালিওয়াল আরও লিখেছেন, এনডিএ বৈঠকের জন্য ৩৮টি দল মিলিত হয়েছে কিন্তু আমি প্রশ্ন করতে চাই, মণিপুর কেন জ্বলছে তা নিয়ে কোন দলের কোন প্রতিনিধি কী প্রধানমন্ত্রীকে একটি প্রশ্নও করেছে? মণিপুরে ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে। বিজেপি কেন রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মণিপুর জ্বলছে এবং বিজেপি নেতা পাঁচতারা হোটেলে মিলিত হচ্ছেন”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মণিপুর হিংসা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন যৌন হয়রানির ভিডিও প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এমন ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ঘটনাটি যে কোন সুশীল সমাজের জন্য লজ্জাজনক।" তিনি আরও বলেছেন, ‘কোন ধর্ষককে রেয়াত করা হবে না। নারীদের সুরক্ষায় আমাদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে’। ইতিমধ্যে ভিডিওকাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এসবের মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর জারি করা একটি আদেশে নির্দেশ দিয়েছে যে মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্যে যৌন হয়রানির ভিডিও যাতে শেয়ার না হয় তা অবিলম্বে নিশ্চিত ও কার্যকর করতে হবে।