রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় নলিনী শ্রীহরণ-সহ ছয় সাজাপ্রাপ্তকে গত ১১ নভেম্বর মুক্তির অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কেন্দ্র। এই ব্যাপারে সরকার বলেছে, সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমার নির্দেশটি শুনানির সুযোগ না-দিয়েই পাস করা হয়েছে। পিটিশনে সরকার জানিয়েছে, গোটা বিষয়টিতে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। কারণ, দোষীরা কেন্দ্রকে তাদের মুক্তির আবেদন অংশীদার করেনি। তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার এই মামলায় অংশ নিতে পারেনি।
প্রায় ছয় মাস আগে এই মামলার অন্যতম অপরাধী এজি পেরারিভালানকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। সেই মুক্তি রাজীব হত্যাকাণ্ডে বাকি দণ্ডিতদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে। গত ১৮ মে, সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিভি নাগারথনার একটি বেঞ্চ সেই সময় বলেছিল যে, 'অন্য কোনও ব্যাপারে দরকার না-হলে আবেদনকারীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।'
শুক্রবার, বেঞ্চ বলেছে যে একই আদেশ অন্য ছয় অভিযুক্তের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আদালত উল্লেখ করেছে যে এই ছ'জন এই মামলায় তিন দশকেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছে। এই সময়ে তাদের আচরণও সন্তোষজনক ছিল। তারা লেখাপড়াও চালিয়েছিল। নলিনীর মুক্তির ব্যাপারে আদালত জানিয়েছে, সে একজন মহিলা। তাই তাকেও মুক্তির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গেই আরও যাদের মুক্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হল- নলিনী শ্রীহরণ, সান্থান ওরফে রবিরাজ, মুরুগান, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার এবং রবিচন্দ্রন ওরফে রবি।
আরও পড়ুন- রাজীব হত্যায় দণ্ডিত, ৩১ বছর পর জেল থেকে মুক্তি, কতটা চেনেন নলিনীকে?
গত ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালের ২১ মে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নির্বাচনের আগে একটি সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে শ্রীপেরামবুদুরে নিহত হন। এলটিটিইর একজন আত্মঘাতী মহিলা হামলাকারীর বোমায় তিনি প্রাণ হারান। সেই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী ধনু সমাবেশ চলাকালীন গান্ধীর কাছাকাছি গিয়েছিল। তার সালোয়ার কামিজের মধ্যে থাকা বোমাটি বিস্ফোরণের আগে ধনু রাজীবের পা ছোঁয়ার মত করে নত হয়েছিল। গান্ধী ছাড়াও, বিস্ফোরণে আরও প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছিল এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।
Read full story in English