দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া লাফিয়ে বাড়তে বাড়তে হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। কিন্তু এখনও ভারতে মারণ ভাইরাসের থাবায় গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়ায়নি বলে জানাল স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। এ প্রসঙ্গে সোমবার স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেন, ''এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। যদি তা হত, তাহলে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য় সকলকে আরও এ বিষয়ে জানাতাম''।
এ প্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ''আমাদের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া একশো থেকে হাজার ছুঁতে ১২ দিন নিয়েছে, যেখানে অন্য়ান্য় উন্নত দেশে সংখ্য়া লাফিয়ে বেড়েছে''।
মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ু হয়েছে। এর জেরে দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ২৯। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ১০৭১। করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন চলছে দেশে।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জীবাণুনাশক স্প্রে, বরেলিতে তুমুল বিতর্ক
দেশের মধ্য়ে করোনার থাবা সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য়া ছুঁয়েছে ২১৮। এরপরই রয়েছে কেরালা। দক্ষিণের এই রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ২১৩।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে, সে ব্যাপারে জানতে কেন্দ্রের থেকে স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় লকডাউনের মেয়াদ আপাতত বৃদ্ধির কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
অন্য়দিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের বরেলির এই ছবি সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশে। এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এমন কাণ্ডের জন্য় যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন