Advertisment

তাণ্ডব বিতর্ক: ‘ওটিটি মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া হোক কেন্দ্র’, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেছেন, ‘এখন এই ধরনের মাধ্যমে সিনেমা বা সিরিজ খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এর উপরে নজরদারির দরকার আছে। কারণ এখানে পর্নোগ্রাফিও দেখানো হয়।’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সম্প্রতি অ্যামজন প্রাইমে সম্প্রচারিত তাণ্ডব ছবি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।

ওটিটি (OTT) বা অনলাইন ওয়েব মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার বলেছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কী দেখানো হবে, তা নিয়ন্ত্রণে স্পষ্ট গাইডলাইন দরকার।  গোটা বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকার নজরদারির মধ্যে আনুক, মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছে, পর্নোগ্রাফির মতো ছবিও এই সব মাধ্যমগুলিতে দেখানো হচ্ছে। ফলে এদের উপরে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন।এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ আর আর সুভাষ রেড্ডির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন অ্যামাজন ইন্ডিয়ার প্রধান অপর্ণা পুরোহিতের একটি মামলার শুনানি হয়েছে। অপর্ণার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগি।  

Advertisment

সম্প্রতি ওয়েব-মাধ্যমে দেখানো সিরিজ ‘তাণ্ডব’ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। যে প্ল্যাটফর্মে সিরিজটি দেখানো হয়, সেই আমাজনের ভারতীয় প্রধান অপর্ণা পুরোহিতের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। অপর্ণা তার প্রেক্ষিতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদন ইলাহাবাদ হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। অপর্ণা তার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর আবেদন, 'অ্যামাজনের তিনি বেতনভুক কর্মী মাত্র। তাণ্ডব নির্মাণ বা প্রযোজনার সঙ্গে তিনি জড়িত নয়। তাও গোটা দেশে তাঁর বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা।'

সংবাদ সংস্থার খবর, এরপরেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কী দেখানো হবে, তা নিয়ে বলতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অশোক ভূষণ বলেছেন, ‘এখন এই ধরনের মাধ্যমে সিনেমা বা সিরিজ খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এর উপরে নজরদারির দরকার আছে। কারণ এখানে পর্নোগ্রাফিও দেখানো হয়।’

এই ওয়েব-মাধ্যমের উপরে নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে। অভিযোগ, করোনার কারণে যেহেতু সিনেমা হলগুলি দীর্ঘদিন ছবি দেখাতে পারেনি, তাই এই মাধ্যমগুলি অবাধে ছবির মুক্তি ঘটিয়েছে। আর সেন্সরশিপের কোনও তোয়াক্কা না করে দেদার দেখিয়েছে নানা ধরনের ছবি। ফলে এদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে বিষয়টি সে দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যম বা সোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে একাধিক গাইডলাইন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষক আন্দোলন ঘিরে ট্যুইটার-কেন্দ্র সংঘাত সর্বজনবিদিত। তারপরেই এই মাধ্যমে নজরদারি চালাতে কিংবা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

supreme court Tandav OTT Platform
Advertisment