চিনে কোভিড বিস্ফোরণ। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে করোনা বাড়ছে, আরও কড়া হচ্ছে কেন্দ্র, জারি নতুন নির্দেশিকা।চিনে করোনা বাড়ছে। সেকথা মাথায় রেখে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে সংক্রমিতদের সংগৃহীত নমুনা সরকার নির্ধারিত ইনসাকগ জিনোম ল্যাবরেটরিজে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর নির্দেশও দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুধুমাত্র চিনই নয় আরও কয়েকটি দেশেও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সেকথা মাথায় রেখে এই সব নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বুধবার দেশের কোভিড -১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সিনিয়র কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন – ভারতে এই মুহূর্তে প্রতি সপ্তাহে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ১২০০-এর কাছাকাছি। কেন্দ্রের যে বিষয় নিয়ে মাথাব্যাথা তা হল সামনেই বড়দিন, বর্ষবরণ, অধিকাংশ মানুষ এখনও কোভিডের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি। এমন পরিস্থিতিতে ফের কোভিডের সংখ্যা বৃদ্ধি আটকাতে সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কাছে পাঠানো বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ‘জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ব্রাজিল এবং চীনে আকস্মিকভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। ভারতীয় SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভ্যারিয়েন্ট ট্র্যাক করতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে পজিটিভ কেসের নমুনার পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিংও প্রয়োজন।’চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, নতুন SARS-CoV-2 রূপগুলোর প্রাদুর্ভাব সনাক্ত করতে এবং কারা এগুলো বহন করছেন, তা চিহ্নিত করতে করোনা পজিটিভদের সনাক্তকরণ, বিচ্ছিন্নতা, পরীক্ষা এবং সময়মত ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি।
আরও পড়ুন: < ইস্তফা দিতে নেতৃত্বের ফোন, দলের চাপে পদত্যাগের দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন খড়গপুরের চেয়ারম্যান >
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে গোটা বিশ্বে প্রতি সপ্তাহে ৩৫ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই টিকাকরণের গতিবৃদ্ধি প্রয়োজন। লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশে করোনা সংক্রমণ যেন ১,২০০ না-ছাড়ায়। সেই জন্যই নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এই সংক্রমণের জন্য দায়ী কি না, তা-ও চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সময়মতো নমুনা পরীক্ষা গেলে, ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করা সম্ভব। পাশাপাশি, কোথাও করোনার টিকাকরণ ঠিকমতো না-হয়ে থাকলে, সেই সমস্যাও মেটানো সম্ভব।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে...
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর), স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে INSACOG (ইন্ডিয়ান SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম) পরীক্ষাগারে করোনার রিপোর্ট করা কেসের নমুনা সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছে। যদি কোন নতুন ভেরিয়েন্ট আসে, তাহলে তা যাতে সহজেই ট্র্যাক করা যায়। মহামারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনার কবলে পড়বেন। সেই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তার জেরেই কেন্দ্রের এই আগাম সতর্কতা।